কীভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানো যায়? সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর কার্যকর উপায়

সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর কার্যকর উপায়


সেক্স পার্টনার নিয়ে অনেকেই যৌন জীবনে (Sex life) এ সমস্যার মধ্যে কাটায়। সঙ্গী যৌন সম্পর্কে আগ্রহ দেখায় না, সহবাসের সময় অল্পতেই বীর্যপাত হয়ে যাওয়া, লিঙ্গ শক্ত হয়ে না দাঁড়ানো, অনুপযোগী সেক্স পজিশন ইত্যাদি কারণে অনেকেই যৌন জীবন নিয়ে হতাশ। এই আর্টিকেল আপনাদেরকে কীভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানো যায়? সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর কার্যকর উপায় সম্পর্কে জানাবে।

Improve sexual power. 


যা যা জানবেন এই লেখায়-

  • যৌন জীবনে কী কী সমস্যা হয়ে থাকে?
  • কী কী কারণ যৌন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে? 
  • কীভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানো যায়? সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর খাবার, মেডিসিন, ব্যায়াম।
  • উপযোগী পজিশন। যে পজিশনগুলো ভালো।
  • কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে? 


যৌন জীবনে কী কী সমস্যা হয়ে থাকে? 

এটা হচ্ছে যখন যৌন ক্ষমতা নিয়ে যৌন জীবনে পার্টনারের সাথে সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন- যৌন সম্পর্ক করতে আগ্রহ না থাকা, আগ্রহ কম থাকা, দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যাওয়া, লিঙ্গ শক্ত না হওয়া, যোনিতে পেনিস ঢুকাতে বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়া, দু'জনের চাহিদার ঘাটতি, যৌনাঙ্গে ব্যথা হওয়া, অনুপযোগী পজিশন, রোমান্টিকতার অভাব, যৌন বিষয়ক পূর্ণ ধারণা না থাকা, পূর্ণ তৃপ্তি না পাওয়া, ভারসাম্য না থাকা। যৌন জীবনে মানুষ এই সমস্যা গুলো নিয়েই বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়। যা তাদের যৌন জীবনকে কঠিন ও হতাশাময় করে তুলে।

     পড়ুন- যৌন জীবনে টেস্টোস্টেরন

কী কী কারণ যৌন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে? 

শারীরিক, মানসিক, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার ধরণ এসমস্ত কারণগুলো মানুষের যৌন জীবনে প্রভাব ফেলে। 
শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে ও ফিট না থাকলে কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়া সহজ হয় না, কোনো কাজে তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তাই প্রয়োজন হচ্ছে পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করা। সুস্থ থাকতে চাইলে অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম কার্যকর উপায়। ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

মানসিক চাপ, হতাশা, দুশ্চিন্তা, অবসাদ এসব কারণে যৌন সম্পর্কে অমনোযোগী করে রাখে ফলে যৌন সম্পর্ক ভালো হয় না। এক্ষেত্রে উচিত মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা, মানসিকভাবে ভালো থাকা

আমরা প্রতিদিন যা খাই, যত খাবারই খাই তা আমাদের যৌন জীবনে প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ আপনি কী খাচ্ছেন না খাচ্ছেন তা আপনার সেক্স লাইফের উপর প্রভাব ফেলবে। অতএব, আপনি যৌন জীবন নিয়ে চিন্তিত হলে খাবার তালিকার দিকে আপনাকে মনোযোগ দিতে হবে যৌন ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে। কী কী খাবেন তা পরে বলা হয়েছে, পড়তে থাকুন। 

প্রতিদিনের কাজের চাপ, চলাফেরা, মাদক, তামাক, অ্যালকোহল, সঙ্গীর সাথে মানসিক খাপ না থাকা এই জীবনযাত্রার ধরণগুলোও আপনার যৌন জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে থাকে। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যদি যৌন জীবনে সুখী হতে চান।


সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর কার্যকর উপায় 

যৌন সম্পর্কে তৃপ্ত থাকতে, যৌন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে, পার্টনারের চাহিদা মেটাতে সর্বোপরি যৌন জীবনে সুখী হতে চাইলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলুন।

- খাবার

- ব্যায়াম

- জীবনযাত্রার ধরণ 

- সেক্স পজিশন 

- মেডিসিন 


Foods for improving sex power
for improving sex power

খাবার

প্রথমেই বলবো কোন কোন খাবারগুলো যৌন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। প্রোটিন, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এই খাদ্য উপাদান গুলো যৌন সক্ষমতা সৃষ্টিতে সহায়ক। ভাত, গমের রুটি, ডিম, মুরগির মাংস (বিশেষ করে টার্কি মুরগির), মাছ (বিশেষ করে তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছগুলো), দুধ, দই, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, বিট, অ্যাভোকাডো, আপেল, ডালিম, ডুমুর, কলা, টমেটো, গাজর, ব্রকোলি, পালংশাক, পুঁইশাক, পুঁইশাকের ডাটা, সজিনা, ঢেঁড়স, বিভিন্ন রঙিন শাক-সবজি ও ফলমূল, কুমড়ার বীজ, তরমুজ, ডাবের পানি, খেজুর, মধু, কালোজিরা, ও বিভিন্ন মশলাযুক্ত খাবার। 

এই খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখলে যৌন শক্তি বাড়াতে এগুলো অনেক উপকারী ও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে যা আপনার যৌন জীবনকে মধুর করে তুলবে। এগুলো বেশি বেশি খেতে পারলে ভালো। নারী ও পুরুষ উভয়ের খাবার তালিকায় এগুলো রাখা উচিত। 


Exercises for improving sex power
Exercises for improving sex power


ব্যায়াম

বাহু ও মাংসপেশির ব্যায়াম: শক্তিশালী সবল বাইসেপ ও ট্রাইসেপ বেশি বেশি ওজন ধরতে ও গতি বাড়াতে, শরীরের উপরের অংশ মজবুত করতে ভূমিকা রাখে। তাই আপনার বাহু, গলা, কাঁধ ও মাংসপেশির উন্নতির জন্য ব্যায়াম গুলো করুন। যেমন- পুশ-আপ, উঁচু কোনো কিছুর যেমন- টেবিল বা বেঞ্চের উপর হাত আর মাটিতে পা রেখে পুশ-আপ, দুই পা মেলে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে দুই হাত দিয়ে পায়ের আঙুল ধরা, হাত উপর থেকে বাঁকিয়ে পিঠের মাঝখানে স্পর্শ করা ইত্যাদি ব্যায়াম গুলো করতে পারেন।

বুকের ও পেটের ব্যায়াম: বুকের জন্য পুশ-আপ, উঁচু কোনো কিছুর উপর হাত রেখে পুশ-আপ, বুকের উপর ভর দিয়ে শুয়ে হাত ও পা উপরে তুলে রাখা। আর পেটের জন্য উঠ-বস করা, কনুই ও পায়ের উপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে সোজা হয়ে থাকা, চিৎ হয়ে শুয়ে দুই হাত মাথার নিচে রেখে পা সোজা রেখে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে তোলা, চিৎ হয়ে শুয়ে দুই পা ভাজ করে দুই হাত পিঠ বরাবর সোজা রেখে পা ও হাতের সমান্তরালে ভর দিয়ে পেট উপরে তোলা ইত্যাদি। 

কোমর, হাঁটু, পা- এর ব্যায়াম: ত্রিভুজাকৃতির পোজ, দৌঁড়ানো, জগিং, কিকিং, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা করা ইত্যাদি।

দম বাড়ানোর ব্যায়াম: শ্বাস কয়েক সেকেন্ড ধরে রেখে ছেড়ে দেওয়া, মুখ ও এক নাক বন্ধ করে অন্য নাক দিয়ে শ্বাসকার্য চালানো, বড় বড় শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া, যোগব্যায়াম (Yoga)। 


যৌনাঙ্গের পেশি শক্তিশালী করতে ব্যায়াম:

  • প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের বেগ কিছুক্ষণ আঁটকে রাখুন, আবার প্রস্রাব ছাড়ুন। কয়েকবার করে এমনটা করুন। এতে যৌনাঙ্গের পেশি সবল হবে।
  • যখন প্রস্রাব করবেন না তখন চেষ্টা করুন প্রস্রাব করার সময় কীভাবে বেগ কিছুক্ষণ আঁটকে রেখেছিলেন। প্রস্রাব করার মুহুর্ত ছাড়াও এভাবে কয়েক সেকেন্ড করে আঁটকে রাখার ব্যায়ামটি করুন। 

এই ব্যায়াম দু'টি দিনে কয়েকবার করে করতে চেষ্টা করুন। এতে আপনার লিঙ্গের পেশি শক্তিশালী ও সবল হবে। ফলে যৌন সম্পর্ক বা সেক্স করার সময় লিঙ্গ শক্ত হয়ে দাঁড়াবে, অনেকক্ষণ ধরে সহবাস করতে পারবেন, দ্রুত বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।


জীবনযাত্রার ধরণ 

এটি হচ্ছে আপনি আপনার দৈনন্দিন রুটিনে কী কী করেন সেটা। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো মেনে চলুন-

  • দিনে অন্তত ১ ঘণ্টার মতো বাইরের আলো-বাতাস পূর্ণ পরিবেশে কাটান।
  • আপনার ও আপনার সঙ্গীর মানসিক অবস্থা খেয়াল করুন। মানসিক চাপ, কাজের চাপ, হতাশা, দুশ্চিন্তা, পারিবারিক কলহ, ঝগড়া, মনোমালিন্য দূরে রাখতে চেষ্টা করুন। সঙ্গীর সাথে মধুর ও ঘনিষ্ঠ হোন। 
  • ধুমপান, মদ্যপান, তামাক অর্থাৎ তামাক ও অ্যালকোহল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ধুমপান মানুষের যৌন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। আর অ্যালকোহল শরীর ও যৌনাঙ্গের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। 
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করুন। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে চেষ্টা করবেন।

এছাড়াও প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা ও পরিপূর্ণ ঘুম হওয়া।


উপযোগী সেক্স পজিশন ও করণীয়

বিশ্বে বহুল প্রচলিত ও সবচেয়ে বেশি করা সেক্স পজিশন হচ্ছে নারীসঙ্গী চিৎ হয়ে নিচে থাকে ও পুরুষ সঙ্গী উপুড় হয়ে উপরে থেকে সহবাস করে। এই পজিশনে অনেকেই তৃপ্ত হোন, আবার অনেকেই হয় না। কারণ এতে শুধু একজনকে মানে শুধু পুরুষ সঙ্গীকে বেশি কষ্ট করতে হয়। ফলে দু'জনের মধ্যে পরিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক হয়ে উঠে না ও পূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাই এমনভাবে শারীরিক সহবাস করা উচিত যাতে উভয়েই কাজ করে ও সন্তুষ্ট হতে পারে। কিছু পজিশন বলা হলো যা যৌন সম্পর্কে উপযোগী ও যৌন জীবন সুখের করে তুলবে -

১. প্রথমে দু'জনে কিছুক্ষণ রোমান্টিক মুহুর্ত কাটানো ভালো। গালে ও ঠোঁটে চুমু খাওয়া বা কিসিং, জড়িয়ে ধরা, দু'জন দু'জনের প্রশংসা করা, শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে হাত বুলিয়ে দেওয়া ও কিস করা এরকম রোমান্টিক মুহুর্ত দিয়ে সহবাস শুরু করা উচিত। তাহলে দু'জনেই উত্তেজিত হয়ে সহবাসের সময় আনন্দঘন মুহুর্ত কাটানো যাবে। অপরজন প্রস্তুত না থাকলে জোর করে করতে যাওয়া মোটেই ঠিক কাজ নয়।

২. নিজেদের যে পজিশনে ভালো লাগে ও উপযোগী মনে হয় সেই পজিশনগুলো চেষ্টা করুন। দু'জনের পজিশন পাল্টে, কাত হয়ে, দাঁড়িয়ে, একজন শুয়ে ও অন্যজন বসে বা দাঁড়িয়ে যেভাবে সুবিধাজনক লাগে সেভাবে করে যেতে থাকুন। হুট করে নতুন স্টাইল ও পজিশনে করতে যাবেন না। আস্তে আস্তে দু'জনে বোঝাপড়ার মাধ্যমে নতুন স্টাইল ও পজিশনটি রপ্ত করে তুলুন।

৩. যদি বীর্য দ্রুত বের হয়ে আসার উপক্রম হয়, তাহলে এই টিপস্ রপ্ত করে নিন। সেটি হচ্ছে - সহবাস করা মুহুর্তে যখনই দ্রুত বীর্য বের হয়ে আসার পরিস্থিতি হবে, তখন যৌনাঙ্গ সাথে সাথে বের করে নিন ও সবরকম যৌনকর্ম বন্ধ রাখুন এমনকি মনোযোগও তা থেকে কিছুক্ষণের জন্য সরিয়ে নিন। কয়েক মিনিট পর আবার আস্তে আস্তে শুরু করুন। এভাবে যখনই দ্রুত বের হয়ে আসতে চাইবে, তখন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ভালো ফল পাবেন। তাড়াহুড়ো করতে যাবেন না।

৪. শুধু পুরুষ সঙ্গীর উপর সব ছেড়ে না দিয়ে, নারীসঙ্গীকেও তার পার্টনারের সাথে তাল মেলাতে হবে। একবার পুরুষের পজিশন পাল্টে নারীসঙ্গী সেই পজিশনে করবে। মানে যদি নারী চিৎ হয়ে শোয়া পজিশনে থাকা অবস্থায় পুরুষ সঙ্গী করতে থাকে, তাহলে কয়েক মিনিট পর পজিশন পাল্টে পুরুষ সঙ্গীকে শোয়া পজিশনে নিয়ে নারীসঙ্গী উপরে উঠে করবে। এতে ভারসাম্য ভালো থাকবে ও যৌন সম্পর্ক আরও মধুর করে তুলবে।

৫. যৌনাঙ্গে ঢুকাতে সমস্যা হলে পিচ্ছিল তরল বা লুব্রিকেন্ট (Lubricant) ব্যবহার করে আরও আরামদায়ক মুহুর্ত তৈরি করে নিতে পারেন।

৬. যখন যে স্টাইল ও পজিশনে করছেন তখন শুধু ঐ স্টাইল ও পজিশনেই মনোযোগ দিন। অন্য স্টাইলের জন্য তাড়াহুড়ো করতে যাবেন না। ধীরেধীরে উপভোগ করতে থাকুন। সঙ্গীর চাওয়ার দিকেও মনোযোগী হোন। 

এই টিপস্ ও পজিশন গুলো ভালোভাবে করতে পারলে যৌন সম্পর্কে পূর্ণ তৃপ্তি পেতে সক্ষম হবেন। আগেই মূল অর্থাৎ চরম পর্যায়ে না গিয়ে প্রথমে কিছু ফোরপ্লে (Foreplay) ও রোমান্স করার মাধ্যমে এগোতে থাকুন।


বিশেষ দ্রষ্টব্য: ওরাল সেক্স ও এনাল সেক্স বিভিন্ন ধার্মিক দিক থেকে বিকৃত ও নিষিদ্ধ যৌনাচার বলা হওয়ায় তা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো না।


মেডিসিন 

অনেকেই যৌন  জীবনে হতাশ ও দুশ্চিন্তা নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন যৌন উত্তেজক মেডিসিন খেয়ে যৌনকর্ম করে থাকে। যা পরবর্তীতে বড় কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যৌন সম্পর্কে সমস্যা ও ক্ষমতার ঘাটতি দেখা দিলে আগেই কোনো মেডিসিন না নিয়ে পুষ্টিকর খাবার ও ব্যায়াম করে নিজের দক্ষতা, ক্ষমতা, মনোবল বাড়িয়ে চেষ্টা করুন। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাবার ও ব্যায়াম করে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। যদি তাতে সমাধান না পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে কোনো মেডিসিন নিবেন। কোনোভাবেই পরামর্শ ছাড়া মেডিসিন নিতে যাবেন না।

তাই এখানে কোনো মেডিসিন নিয়ে বলা হলো না। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে পরবর্তীতে আপডেট করে মেডিসিন সম্পর্কে বলে দেওয়া হবে। 


কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে? 

মাঝেমধ্যে যৌন সক্ষমতায় ঘাটতি ও সমস্যা হলে তাতে চিন্তিত না হয়ে উপরে বলা খাবার, ব্যায়াম ও করণীয়গুলো খেয়াল করে চলুন। কিন্তু যদি লিঙ্গ শক্ত না হয়, লিঙ্গ ভালোভাবে না দাঁড়ায় উত্তেজনাকর মুহুর্তে, পুরুষ সঙ্গীর বীর্যপাত ও নারীসঙ্গীর অর্গাজম হতে কষ্ট হয়, সহবাসের সময় ব্যথা ও অস্বস্তি হতে থাকে এবং এই সমস্যাগুলো অনেকদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপনা মেনে চলুন।


সর্বশেষ 

কীভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানো যায়? সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর কার্যকর উপায় সম্পর্কে এতক্ষণ যা যা বলা হলো সেগুলো সচেতনতার সাথে নিন। আগেই হতাশ হয়ে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ও কোনো মেডিসিন না নিয়ে উপরের পদ্ধতি ও করণীয়গুলো মেনে চেষ্টা করে যান। বেশিরভাগ মানুষই পুষ্টিকর খাবার ও ব্যায়াম করার মাধ্যমে নিজেদের যৌন জীবনে সক্ষমতা লাভ করতে সফল হয়েছেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url