কীভাবে সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা দিতে হবে?

সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা
সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা


বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেশ। আরামদায়ক আবহাওয়া হওয়ায় বিভিন্ন শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী অর্থাৎ সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণীর বসবাসের উপযোগী। সাপ হচ্ছে শীতল রক্ত বিশিষ্ট এক ভয়ংকর সরীসৃপ। আপনাদের সাথে আজ নিয়ে আসলাম কীভাবে সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা দিতে হবে এ সম্পর্কে বলতে।

আলোচনায় যা থাকবে
  • কত রকমের সাপ আছে? 
  • সাপে দংশন করার কারণ। 
  • কীভাবে বুঝতে পারা যাবে বিষধর সাপের কামড়?
  • সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা দিতে হবে কীভাবে?
  • যে কাজগুলো করা যাবে না।
  • চিকিৎসা। 
  • সাপের কামড় প্রতিরোধ পদ্ধতি বা সাপ যাতে না থাকে তা প্রতিরোধের পদ্ধতিগুলো।

কত রকমের সাপ আছে? 

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া ভাষ্যমতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখের উপরে বেশি মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়। এই তালিকায় বলা হয়েছে বছরে প্রায় ৭ হাজারের কাছাকাছি মানুষ সাপের দংশনের কারণে মারা যায়। সাপের দংশনে মারা যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ এবং সবচেয়ে বড় কারণ হলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না এসে ওঝা, কবিরাজের কাছে যাওয়া। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও অজ্ঞতা আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন। সাপের কামড়ের উপযুক্ত চিকিৎসা থাকার পরও বেশিরভাগ মানুষ ওঝা, কবিরাজের কাছে ছুটে।

সাপ নিয়ে গবেষণাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৯২ প্রজাতির সাপ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২০ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত অর্থাৎ বিষধর সাপ। বিষধর প্রজাতির সাপগুলোর মধ্যে ১৪ প্রজাতিই সমুদ্রে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাস করে। কয়েকটা প্রজাতি স্থলে মানুষের বসবাসের জায়গা থেকে কিছুটা দূরে বসবাস করে। বাংলাদেশে বিষধর সাপের মধ্যে গোখরার কয়েকটি জাত, শঙ্খচূড়, কালাচ, রাসেল ভাইপার ( চন্দ্রবোড়া) উল্লেখযোগ্য। এই সাপগুলোর দংশনে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সাপের দংশন করার কারণ 

সব সাপই শান্তশিষ্টভাবে বাস করে। কিন্তু নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য সাপ ভয়ংকর হয়ে উঠে। শুধু সাপ নয়, পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীই আত্মরক্ষার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করে। মানুষের বেলায়ই দেখুন। মানুষ নিজেকে বড়ভাবে প্রচার করতে, নিজেকে বাঁচাতে, নিজের জীবন গঠন করতে কত আক্রমণাত্মক ও কঠিন সব উপায় অবলম্বনও করে। ঠিক তেমনি সাপের বেলায়ও। সাপ অযথা আক্রমণ করে না। মানুষের কারণেই সাপ দংশন করে। সাপের দংশন করার কারণ হিসেবে মানুষই আসলে দায়ী। নিজে বাঁচার জন্য ভয়ে বাধ্য হয়েই সাপ আত্মরক্ষার জন্য দংশন ঘটায়। কারণগুলো হলো- 

  • বর্ষাকালে পানিতে সাপের ঘর বা গর্ত ভরে গেলে তখন সাপ গর্ত ছেড়ে উঁচু জায়গায় চলে আসে। আবার শীতকালে একটু উষ্ণতার খোঁজে বাইরে চলে আসে। এই দুই সময়েই সাপ মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। সেই সময় সাপ সামনে পড়ে গেলে পালানোর জন্য ও নিজেকে বাঁচানোর জন্য আক্রমণাত্মক হয়ে যায়। 
  • খাবার খুঁজতে সাপ লোকালয়ের কাছাকাছি এসে গেলে ও মানুষের সামনে পড়ে গেলে পালাতে চেষ্টা করে। পালাতে না পারলে আক্রমণাত্মক হয়ে দংশন করে দেয়।
  • অসতর্কতাবশত রাতের অন্ধকারে চলার সময় সাপের গায়ে আঘাত করলে তখন সাপ আক্রমণ করে দংশন করে দেয়। 

বিষধর সাপের কামড়

বাংলাদেশের খুব কম সাপই বিষধর। বিষাক্ত আর বিষধর এক জিনিস না। বাংলাদেশে বিষধর সাপের তুলনায় নির্বিষ সাপের পরিমাণই বেশি। সব সাপের দংশনে মৃত্যু হয় না। কোন সাপে কামড় দিয়েছে তা নিশ্চিত না হয়েই বেশিরভাগ মানুষ ওঝা, কবিরাজের কাছে যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওঝা, কবিরাজরা সদ্ব্যবহার করে নিজেদের ব্যবসা করে। বিষধর সাপের দংশনেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিষধর সাপের কামড় চেনার উপায় -

  • বিষধর সাপের অন্যসব দাঁতের সাথে সামনে দু'টি বড় দাঁত থাকে যা দেখতে অনেকটা বাঁকানো। সেই দুই দাঁতই বিষদাঁত। সেখানে থাকে নালির মতো অংশ যেখানে সাপের বিষগ্রন্থি থাকে। সেই দাঁত দু'টি দিয়ে কামড় দেওয়ার সময় বিষগ্রন্থি থেকে বিষ নিঃসৃত হয়ে কামড়ের জায়গায় প্রবেশ করে। 
  • বিষধর সাপ দংশন করলে দুই বিষদাঁতের চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা যায়। যদি দাঁত দু’টির চিহ্ন স্পষ্ট না থাকে ও এলোমেলো অথবা একসাথে অনেকগুলো দাঁতের চিহ্ন দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা বিষধর সাপের কামড় নয়। কিন্তু এতেও নিশ্চিত হওয়া যাবে না। বিষধর সাপের দংশনের অন্যান্য লক্ষ্যণ দেখা গেলে অবশ্যই চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। 
  • বিষধর সাপের দংশনের স্থান ফুলে ফেঁপে যায় ও ক্ষতস্থানে রক্তপাত হতে শুরু করে। 
  • দংশন বা কামড়ের জায়গায় ব্যথা হয় এবং জায়গাটা লাল হয়ে উঠে। 
  • বিষধর সাপের কামড় থেকে নিউরোটক্সিন নামক বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয় যার ফলে সাপ যাকে কামড় দেয় তার শরীরে কিছু লক্ষ্যণ দেখা দেয় যেমন- মাথা ঘুরানোচোখে ঝাপসা দেখা, চোখের পাতা ফোলা, ঝিমানো ভাব, ঘুম পাওয়া, বমি হওয়া বা বমিবমি ভাব হওয়া, ডায়রিয়া হতে পারে, পানির পিপাসা বাড়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, জ্বর, দূর্বলতা, শরীর হাত-পা অবস অবস্থা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মুখ নড়াচড়া করতে সমস্যা, অস্থিরতা, প্রস্রাব না হওয়া ইত্যাদি লক্ষ্যণগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক লক্ষ্যণ দেখা দিতে পারে। রাসেল ভাইপারের দংশনে শরীরের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তবমি হতে পারে।


সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা

বেশিরভাগই নির্বিষ সাপে দংশন করে বিধায় আক্রান্তরা ওঝা, কবিরাজের ভাঁওতাবাজিতে মুগ্ধ হয়ে হাসপাতালে গিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। কিন্তু যখন বিষধর সাপের দংশন হয় তখন ওঝা, কবিরাজের কাছে গেলে ওঝা, কবিরাজ তা সারাতে পারে না ফলে সেখানে সময় অপচয় করে রোগীর জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। 

যত বড় বিষাক্ত বিষধর সাপেই দংশন করুক না কেন, দংশন করার পর ৪-৫ ঘণ্টা পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু হয় না। এই ৪-৫ ঘণ্টাকে বলা হয় Golden hours. এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে রোগীর মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত । অজ্ঞতা আর কুসংস্কারের বশে একটি জীবনকে যেন মৃত্যুর দিকে ঠেলে না দেয় কেউ সে ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। 

রোগীর সুরক্ষা দিতে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত যে ব্যবস্থা গুলো নিতে হয় সেগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো হলো -

১. সাপে কাটা রোগীর মানসিক অবস্থা এই সময় খারাপ থাকে। মনে সাহস হারিয়ে ফেলে। এতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে যদি আক্রান্ত ব্যক্তির হার্ট দূর্বল থাকে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে মানসিকভাবে সাহস দিতে হবে। তাকে ধৈর্য্য ধরতে ও সাহস রাখতে চেষ্টা করাতে হবে। 

২. সাপের দংশনের স্থান সাবান, পানি দিয়ে পরিষ্কার করা।

৩. যেখানে কামড় দিয়েছে সেই স্থানটি যত সম্ভব নিচু করে রাখতে হবে, শরীরের নিচের দিকে করে রাখতে হবে। হার্টের কাছাকাছি যেন না আসে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। মানে হলো- যদি পায়ে কামড় হয়ে থাকে তাহলে পা মাটি বরাবর নিচু করে রাখা, আর যদি হাতে কামড় হয় তাহলে হাত নিচু করে রাখা। কোনোভাবেই কামড়ের স্থান উপরের দিকে রাখা ঠিক হবে না। নড়াচড়া একদম কম করতে হবে। কারণ নড়াচড়া করলে রক্ত চলাচল বেশি হওয়ার ফলে রক্তের সাথে বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমনকি মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে। 

৪. ক্ষতস্থান থেকে কিছুটা উপরে নরম দড়ি অথবা কোনো কাপড় মোটামুটি শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই বাঁধনটি খুব শক্ত না হয়, আবার খুব হালকাও না হয়। খুব শক্ত বাঁধ হলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে অঙ্গটি ( যেখানে কামড় দিয়েছে) অবশ হয়ে যেতে পারে। 

৫. শরীরের কোথাও কোনো কিছু বাঁধা থাকলে, ঘড়ি, আংটি ও এরকম বস্তু পরা থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। কারণ এসব না খুললে উক্ত জায়গা ফুলে যাবে।

৬. রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ও হার্টবিট স্বাভাবিক হচ্ছে কি-না খেয়াল করতে হবে। 

৭. যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীকে হাঁটাচলা করানো যাবে না, কারণ তাতে রক্ত চলাচল বাড়বে। কোনো গাড়িতে করে, অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

সম্ভব হলে কোন সাপে কামড় দিয়েছে এবং কখন কামড় দিয়েছে তা জানা উচিত। কারণ, সাপের দংশন নিয়ে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে ডাক্তারদের সুবিধা হবে।


যে কাজগুলো করা যাবেনা 

  • দংশনের স্থান ছুরি, ব্লেড ও অন্য কিছু দিয়ে কাটা যাবে না। 
  • কামড়ের স্থান থেকে রক্ত মুখ দিয়ে চুষে বের করা উচিত নয়। কোনো পাম্প করা যন্ত্র দিয়েও বিষ বের করার নামে রক্ত বের করা উচিত না।
  • ওঝা, কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাতে রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। 
  • ক্ষতস্থানে কোনো কিছু লাগানো যাবে না। যেমন- কোনো গাছ, গাছের শিকড়, হলুদ, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধ- এসব লাগানো যাবে না। 
  • দংশনের স্থানে সাপের দাঁত পাওয়া গেলে তা উঠিয়ে যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া যাবে না। মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে।

সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা


চিকিৎসা

সাপে কাটলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। রোগীর বয়স, শারীরিক অবস্থা, সাপের দংশনের ধরণ বোঝে ডাক্তার চিকিৎসা প্রয়োগ করে। মারাত্মক পরিস্থিতি না হলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একটি টেটানাস ( Tetanus) ভ্যাকসিন দিয়ে দিবে। ভ্যাকসিনটি প্রতি ১০ বছরে ১ বার করে দিতে হবে রোগীকে।
 
আর যদি মারাত্মক ও খুব আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি হয়, তাহলে এন্টিভেনম (Antivenom) প্রয়োগ করা হয়। এন্টিভেনম সবার জন্য উপযোগী না হওয়ায় ডাক্তাররা সব রোগীকে এটা প্রয়োগ করেন না। যাদের শারীরিক বিভিন্ন জটিল রোগ আছে, তাদের জন্য এন্টিভেনম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, এন্টিভনমের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে যা ব্যক্তি অনুযায়ী ভিন্ন হয়।


সাপের কামড় প্রতিরোধ পদ্ধতি

এটা বুঝতে পেরেছেন যে সাপ নিজে থেকে সহজে বিষদাঁত বিঁধিয়ে দংশন করে না। ভয়ে ও বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে দংশন করে। তাই এ ব্যাপারে মানুষকেই বেশি সাবধান থাকতে হবে। যেমন-
  • চলার পথে সাপ সামনে পড়লে সাপকে উত্যক্ত বা উত্তেজিত করতে যাওয়া যাবে না। কারও উপস্থিতি টের পেলে সাপ নিজেই সরে যেতে থাকে। তাই সাপকে চলে যেতে দিন। লাঠি ও অন্য কোনো বস্তু দিয়ে সাপকে আঘাত করতে যাওয়া ঠিক কাজ নয়। বরং তাতে সাপ আক্রমণ করে বসতে পারে। 
  • সাপ মূলত বেশিরভাগ সময় রাতেই চলাচল করে। কেউ রাতের অন্ধকারে বাইরে বের হলে সাথে বাতি, লাইট রাখতে হবে। অন্ধকারে অসাবধানে হাঁটায় সাপ সামনে পড়লে সাপের গায়ে আঘাত লাগলে তখন সাপও আঘাত করতে পারে। তাই রাতে মানুষের রাতে চলাফেরা করার সময় সাবধানে চলতে হবে। 
  • বেশি ঘাস, ঝোপঝাড়ের জায়গায় যেতে হলে পায়ে বুট জুতা পরতে হবে এবং সাথে লাঠি রাখতে হবে। সাপ সামনে পড়ে গেলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকুন। সাপকে নিজে থেকে চলে যেতে দিন। 
  • বাড়ির কাছাকাছি চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মানুষ যেখানে বা যে ঘরে থাকে সেই ঘরে হাঁস, মুরগি, কবুতর রাখা ঠিক না। 
  • যারা রাতের বেলাতে ক্ষেতে কাজ করতে, মাছ ধরতে ও এরকম জায়গায় যায়, তাদেরকে চারপাশে নজর রেখে কাজ করতে হবে। 
  • ব্যাঙ খেতে সাপ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে ব্যাঙ মুক্ত রাখতে হবে। 
  • যাদের ঘরবাড়ি ঝোপঝাড় সংলগ্ন এলাকায়, সেখানে থাকার ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। ঘরের বিছানা, আলমিরা, আলনা, ঘরের দালানের উপর, কোনো কিছুর খোপ ইত্যাদি জায়গা ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঘরের চিপা জায়গা থেকে কোনো কিছু নেওয়ার প্রয়োজন হলে আগে শব্দ করে ও সেই জায়গাটা একটু নড়াচড়া করে নিতে হবে। 
  • অনেকেই বাড়ির আশেপাশে কার্বলিক অ্যাসিড রাখার ব্যাপারে বলে। কিন্তু সাপের ঘ্রাণশক্তি দূর্বল হওয়ায় কার্বলিক অ্যাসিডের ঝাঁজ সাপের নাকে ঠিকমতো যায় না। সুতরাং, কার্বলিক অ্যাসিড রাখার ব্যাপারটি সঠিক নয়।

ইতি টানছি

আলোচনা করা হলো সাপে কাটা রোগীর সুরক্ষা, চিকিৎসা, প্রতিরোধ বিষয়ে। বর্ষাকাল,  শীতকালের অতি শীত ও গ্রীষ্মকালের অতি গরমের সময় সাবধানতার সাথে বিশেষ করে রাতের বেলায় সাবধানে চলাফেরা করলেই সাপের কামড় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url