কী করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যাবে?
নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব, আত্মবিশ্বাস নাই এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এই যুগেতে তো মানুষের এসবে আরও ঘাটতি। কী করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যাবে তা নিয়ে হীনমন্যতার শেষ নেই। এই লেখাটি যদি কেউ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে, তাহলে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে কিছুটার চেয়ে একটু বেশি হলেও।
এই লেখায়-
- আত্মবিশ্বাস কী?
- একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য।
- কীভাবে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায়?
- সবচেয়ে বড় কথা।
আত্নবিশ্বাস কী?
আত্মবিশ্বাস মানে নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস, যেটাকে সেল্ফ কনফিডেন্সও বলে। জীবনের যেকোনো পদক্ষেপে সফল হতে চাইলে নিজের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস তথা আত্মবিশ্বাস থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই আত্মবিশ্বাস আপনার পুরো জীবন বদলে দিতে পারে। জন্ম থেকেই কেউ এটা নিয়ে জন্ম নেয় না। বড় হওয়ার প্রতিটি এটাকে অর্জন করতে হয়, প্রয়োগ করতে হয় এবং ধরে রাখতে হয়।
আত্মবিশ্বাস অর্জন করা সহজ কোনো বিষয় না। দীর্ঘদিনের অধ্যাবসায়, চর্চা এবং অভ্যাসের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠে। আত্মবিশ্বাস না ধরা যায়, না দেখা যায় বা শুনা যায়। এটি সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক একটা বিষয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে নিজেকেই তা অর্জন করতে হয়।
জীবনে যত সফল ব্যক্তিদের দেখবেন, তাদের সফলতার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে তাদের আত্মবিশ্বাস, বুদ্ধিমত্তা ও হার্ড ওয়ার্ক। তবে আত্মবিশ্বাস হচ্ছে সবার শীর্ষে। কেননা, আত্মবিশ্বাস না থাকলে কোনো কাজে গতি পাওয়া যায় না।
একজন আত্নবিশ্বাসী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য
নিজের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস আছে এমন ব্যক্তিদের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। তা হচ্ছে,
মনের কথা শোনা
একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ প্রথমে নিজের মনের সাথে অজস্র বোঝাপড়া করে তবেই কোনো কাজে হাত দিতে উদ্যোগ নেন, নিজের মনের কথাকে গুরুত্ব দেন। মনের সাথে সেই অজস্র বোঝাপড়ার মধ্যে থাকে নিজের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস, দায়িত্ব, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা। এতকিছুর পরও যদি সেই কাজে তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে সেটা নিয়ে আফসোস নিয়ে পড়ে থাকেন না। বরং পরের বারের জন্য আরও প্রবলভাবে লেগে থাকেন।
ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতা
সবকিছু বোঝাপড়ার সাথে আরও যে জিনিসটাকে ভেবে আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা গুরুত্ব দেয়, সেটা হচ্ছে ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতা। কারণ, তারা জানে ঝুঁকি না নিলে সফল হওয়া যাবে না। বড় পরিকল্পনার একটা অংশ থাকে ঝুঁকি নিতে পারার সাহস। ব্যর্থ হলে, ক্ষতির মুখে পড়লে, বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হলে ঝুঁকি নিতেই হবে। এই মোটিভ নিয়েই তারা কোনো কাজে অগ্রসর হোন।
ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া
কোনো মানুষ পরিপূর্ণ নিখুঁত নয়, নিখুঁত নয় সবার সব কাজও। মানুষই তো ভুল করবে, তাই না? তাই বলে ভুলের জন্য সবসময় আফসোস করে পিছনে পরে থাকাটা ঠিক নয়। নিজের উপর বিশ্বাসী ব্যক্তিরাও জীবনে অনেক ভুল করে থাকে। তাই বলে তারা থেমে থাকে না, ভেঙে পড়ে না। তারা সেই ভুল গুলো শুধরে তা থেকে নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করে আর সামনে এগিয়ে চলতে আরও উঠেপড়ে লেগে যায়।
মুখে হাসি রাখা
একজন সেল্ফ কনফিডেন্স থাকা মানুষকে কেউ প্রশংসা করলে তিনি তা হাসি মুখেই গ্রহণ করতে পারার ক্ষমতা ও মানসিকতা রাখেন স্বভাবের একটি বন্ধুসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ হলো এটি। কিছু জিনিস হাসি মুখে নিতে না পারলেও ধন্যবাদ জানাতে ভুলে যান না। কারণ, সেই জিনিস আর বিষয়গুলো তাকে পরবর্তীতে শিক্ষা নিতে সাহায্য করে।
ইতিবাচক ও আশাবাদী মনোভাব
সবকিছুকে ইতিবাচক বা পজিটিভ ভাবে নিতে চেষ্টা করা তাদের আরেকটি গুণ। অস্বাভাবিক কিছুকে স্বাভাবিকভাবে নিতে না পারা মোটেই কোনো সচেতন মানুষের কাজ নয়। তাই তারা সবকিছুই স্বাভাবিকভাবেই নিতে চেষ্টা করেন। কোনো কাজের ব্যাপারে তারা মনে করে তাদের সাথে ভালো কিছু হবে, কাঙ্ক্ষিত কিছু হবে - এই আশায় আশাবাদী হয়ে আরও উৎসাহী হোন।
জানতে ও শিখতে পছন্দ করা
তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের বিভিন্ন বিষয় জানা আর শেখার প্রতি আগ্রহ থাকা। তারা জানতে, শিখতে আর বিভিন্ন বিষয় জ্ঞান অর্জন করতে পছন্দ করে। যে বিষয়গুলো তাদের জানার প্রয়োজন নেই তারা সে বিষয়গুলোও জানার চেষ্টা করে। তারা বিশ্বাস করে জ্ঞান তাদের আরও বিশ্বাস জোগাবে। জানতে ও শিখতে আগ্রহী মনোভাব তাদের এক দক্ষতা।
কীভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন?
আত্নবিশ্বাস চাইলেই এমনি এমনি হবে না, আর বাড়ানোও যাবে না। একটু আগে আত্মবিশ্বাসী মানুষদের যে বৈশিষ্ট্যগুলো জানলেন, সেগুলো আপনার মধ্যেও রাখতে হবে। নিজেকেই নিজের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হয়।
নিজেই কীভাবে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হলে কিছু মনোভাবও নিজের মধ্যে তৈরি করতে হবে। মনের জোর, ধৈর্য্য ধরে সেগুলো করতে হবে এবং সর্বাবস্থায় বজায় রাখতে হবে। তেমন কিছু মনোভাব ও বৈশিষ্ট্যসমূহ-
১। ছোট থেকে বড় যেকোনো লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা-
আত্মবিশ্বাসী হওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট বাসনা আর লক্ষ্য গুলো পূরণ করা। তাতে নিজের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করবে। এইভাবে আস্তে আস্তে আপনি আপনার বড় লক্ষ্য পূরন করতে পারবেন।
যেমন ধরেন, এই সপ্তাহে আপনি আপনার ১ টা ছোট খাটো লক্ষ্য পূরন করেছেন, তার পরের সপ্তাহে আপনি ২ টা পূরন করেছেন, এরপরের সপ্তাহে এর চাইতেও বড় আর কঠিন কিছু করার চেষ্টা করবেন।লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আপনার তা করতেই হবে। মনোবল শক্ত করে, নিজের উপর বিশ্বাসটাকে আরও দৃঢ় করে জীবন পাড়ি দিতে সেই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য এগিয়ে যাওয়ার প্রবল মানসিকতা থাকতে হবে।
একবার বাঁধা পেলে বা ব্যর্থ হলে থেমে থাকা চলবে না। বারবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, ঝুঁকি নেয়ার সাহস রাখতে হবে।
২। আপনি আপনার মনের কথা শুনুন
উপরেই জেনেছেন মনের কথা শোনা আত্মবিশ্বাসী মানুষদের একটি বৈশিষ্ট্য, একটি গুণ।
এটা আপনার জীবন, আপনার ভবিষ্যৎ, আপনিই ফলাফল ভোগ করবেন। তাই আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত অন্য কারো উপর চাপিয়ে না দিয়ে আপনি নিজে নিতে শিখুন। আপনার মন থেকে যে কাজটা করতে ভালো লাগে আপনি সেটা করুন। মনের সাথে বারবার বোঝাপড়া করে সিদ্ধান্ত নিন।
৩। আপনার অগ্রগতির পর্যবেক্ষণ করুন
আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে বড় বা ছোট কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করা এবং আপনার অগ্রগতির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। অর্থাৎ, আপনি সঠিক পথে এগুচ্ছেন কি-না তা একাধিকবার পর্যবেক্ষণ করুন।
আপনি আপনার কার্যক্রমগুলোর একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন। যেমন: আপনি চাকরির জন্য কতগুলি আবেদন জমা দিচ্ছেন, আপনি কী খাচ্ছেন, আপনি কতটা অনুশীলন করছেন, ক্যারিয়ার গঠনের জন্য কী পরিমাণ সময় ও শ্রম দিচ্ছেন তা লিখুন আর লিস্ট তৈরি করুন আপনার লক্ষ্য যেটাই হোক না কেন।
তাতে এই কাজটা আপনাকে সক্রিয় আর কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করবে, এবং আপনি কতটুকু অগ্রসর হয়েছেন তা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪। " না " বলতে পারার ক্ষমতা
"না" বলা শিখুন। আমাদের আশে পাশে বেশিরভাগ মানুষের কাছে "না" বলাটা অনেক কঠিন একটি কাজ। এর কারণ হচ্ছে, অপরাধবোধ কাজ করা এবং কাউকে কষ্ট দেয়ার ভয়।
আপনার কি কখনও মনে হয়েছে যে আপনি বেশিরভাগ সময় "না" বলতে পারেন না? অনেক সময়েই কষ্ট করে "না" বলে ফেললেও পরে নিজেকে কেমন যেন অপরাধী অপরাধী মনে হয়, তাই না?। এইভাবে চলতে থাকলে আপনি একটা সময়ে মানসিক চাপে ভুগবেন।
কিন্তু এইভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। সবাইকে "হ্যাঁ" বলবেন না। কারণ, আপনি সবাইকে একসাথে সন্তুষ্ট করার জন্য আসেননি। সবাইকে একসাথে খুশি রাখাও যায় না। যদি তা করতে যান তাতে আপনারই ক্ষতি হবে, আপনার মূল্যায়ন কমে যাবে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে "না" বলা শিখুন বড় বা ছোট যে-ই হোক। আপনার যেটা পছন্দ হয় না, সেটা জোর করে করতে যাবেন না।
৫। ব্যায়াম
শরীর ও মনকে রিল্যাক্স পরিবেশ দিতে ব্যায়ামের বিকল্প হয় না।
ব্যায়াম আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের উপকার করার পাশাপাশি, আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার করে থাকে। ব্যায়াম স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে, আপনার দৃঢ় মনোভাব সৃষ্টি করতে, স্ট্রেস মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
উদ্বিগ্নতা, বিষাদ, মানসিক চাপ এবং মাঝে মাঝে অস্বস্তির চরম পর্যায়ের অবস্থা কাটাতে ব্যায়াম হেল্প করে।শুধু তা-ই নয়, আপনার জীবনের বিভিন্ন দিককে উন্নত করতেও হেল্প করে। তাই সক্রিয়, প্রাণবন্ত থাকতে নিজেকে যত্ন নেওয়ার জন্য সময় তৈরি করুন।
৬। সাহসি হতে চেষ্টা করুন
ব্যর্থতা কোনো পাপ বা অন্যায় নয় , ব্যর্থতার ভয় থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনি যদি বড় লক্ষ্য স্থির করেন এবং বড় স্বপ্ন দেখেন, আর বড় কিছু করতে চান, তাহলে আপনি মনে মনে ঠিক করে নিন যে আপনি ব্যর্থতাকে ভয় করবেন না।
ব্যর্থতা জীবনে আসবেই। সবার জীবনেই আসে। তাই বলে কিছু করার আগেই চুপসে যাবেন না আর পিছিয়ে যাবেন না। ব্যর্থতা আসলে তা মোকাবিলা করতে সাহস রাখুন। ব্যর্থতার পরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যখন আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন, সেই মুহুর্তগুলো আপনাকে আরো বিশ্বাসী করে তুলবে।
বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি, ঘটনার ইতিহাস আমাদের জানায়, একেকজন সফল ব্যক্তিরা জীবনে খারাপ সময়ের সম্মুখীন হয়েছিল, ভয় পেয়েছিল, ব্যর্থতা তাদেরকে গ্রাস করেছিল। তবুও তারা তাদের কাজ চালিয়ে গিয়েছে আর ঝুঁকি গ্রহণ করেছে। কারণ, তারা যা অর্জন করার চেষ্টা করছে ও করতে চাইছে তা তাদের ব্যর্থ হওয়ার ভয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি।
তাই আপনি আপনার লক্ষ্য কতটা অর্জন করতে চান তা নিয়ে ভাবুন, তারপরে আপনার ভয়কে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যান।
৭। নিজের পাশে শুধু নিজেই
যখন আপনার লক্ষ্য, প্রকল্প, উদ্দেশ্য ইত্যাদি তার প্রাথমিক বা নিম্ন পর্যায়ে থাকে তখন অনেকেই বলবে যে আপনার লক্ষ্য ভুল, আপনি এটি করতে পারবেন না, আপনার দ্বারা হবে না। বিভিন্ন পিছুটান, পিছুডাক আপনাকে ঘিরে ধরতে চাইবে। সেসবে কখনও কান দিবেন না, তাতে আপনারই লক্ষ্যচ্যুত হবে, আপনারই জীবনে ব্যর্থতার কটাক্ষ ও গ্লানি বইতে হবে। তাই যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ আপনাকে নানা রকম কথা বলে আপনাকে লক্ষ্যচ্যুত আসবে, তাদের কথাকে পাত্তা না দিয়ে নিজের সঠিক সিদ্ধান্তে অটল থাকুন।
আপনার পাশে কেউ না থাকুক, আপনি নিজের পাশে আছেন। আপনার এই অদম্য ইচ্ছা শক্তি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করছে। তাই অন্যরা যতই হাসি-তামাশা, কটাক্ষ, বিদ্রুপ করুক আপনি তা ধরে নিয়ে আগেই মনের সাথে হেরে যাবেন না। যখন আপনার সাফল্য আসবে তখন তারাই আপনাকে বাহবা দিবে, যারা একসময় আপনার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করতো।
৮। অন্যরা কী ভাবছে তা নিয়ে আপনি ভাববেন না
এমন অনেক লোক থাকবে যারা আপনাকে বলবে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন না, এটা হতে পারে, ওটা হতে পারে। এরকম নেতিবাচক কথাবার্তা আপনার বন্ধুবান্ধুব বা পরিবারের যেকোনো কারো কাছ থেকে শুনতে পাবেন। লোকেরা আপনাকে বলার চেষ্টা করবে যে আপনার মিশন খুব বড় , বা আপনি এর যোগ্য না , বা আপনি এটি করতে পারবেন না এবং আরো কত কিছু বলবে। কিন্তু জীবন তো আপনার, তাই স্বপ্ন আপনার, সেই স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্বও আপনার।
কে কী বলবে, না বলবে তা দিয়ে ভাববেন না। তাদের কথা শুনবেন না, আপনি যে কাজটা করে শান্তি পান সেটা করেন, নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং চালিয়ে যান। জীবনের সিলেবাসে কারও পিছুডাক যত কম রাখা যায়, ততই সুবিধা।
৯। জীবন থেকে বিষাক্ত মানুষদের বের করে দিন
খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের আশে পাশেই কিছু নেতিবাচক মানুষ রয়েছে যারা আপনাকে বিরক্ত করা থেকে শুরু করে আপনার উপর মানসিক চাপ ও অশান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোনো ভূমিকা পালন করে না। এমন টক্সিক বা বিষাক্ত মানুষ যে কেউই হতে পারে, আপনার বন্ধুবান্ধব বা আত্নীয়স্বজন বা কাছের কেউ। এমন মানুষরা আপনার কোনো উপকারে আসে না উল্টা আপনাকে পথভ্রস্থ করে তুলবে। তাই যদি পারেন হয় কিছুটা দূরত্ব তৈরি করুন, আর তারা বেশি মাত্রা ছাড়ালে বের করে দিন আপনার জীবন থেকে, সম্পর্ক থেকে। অথবা নিজেই বেরিয়ে আসুন সেখান থেকে।
১০। আপনাকে আনন্দ দেয় সেই কাজগুলো করুন
আপনি আপনার অবসর সময়ে কি করতে ভালবাসেন? বাইরে যেতে? নাকি ঘরে বসে টিভি, মুভি দেখে সময় কাটাতে? আপনি যা পছন্দ করেন না কেন, এর জন্য নিজের জন্য আলাদা সময় রাখুন আর নিজের জগৎ তৈরি করুন, যেখানে আপনি নিজের পছন্দের সব কিছু করতে পারেন। কারণ, জীবন অল্প সময়ের। তাই আপনার জীবনকে সমৃদ্ধ করতে এবং আপনার নিজেকে রিচার্জ করার জন্য আপনার নিজের জন্যও সময়ের প্রয়োজন। এতে আপনি মানসিক শান্তি পাওয়ার পথ খুঁজে পাবেন ও ভালো থাকতে পারবেন।
সবচেয়ে বড় কথা
নিজেকে ভালোবাসুন, নিজেকে সময় দিন, বিশ্বাস রাখুন নিজের উপর। আপনি একজন সুপারম্যান। এভাবেই নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যাবে।