মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে সঠিক পরিচর্যা
মুখের দুর্গন্ধ বিশ্বে প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজনের হয়ে থাকে। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে না। সঠিক পরিচর্যা করার মাধ্যমে মুখের দুর্গন্ধকে বিদায় করা যায়। কিন্তু যারা পর্যাপ্ত পরিচর্যা সম্পর্কে জানে না ও করতে পারে না, তারাই এই বিব্রতকারী সমস্যাটি বয়ে বেড়ায়। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কেই থাকছে এ লেখাতে।
পড়বেন-
- মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ
- মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে সঠিক পরিচর্যা
- ঘরে বানানো মাউথওয়াশ
- কখন মুখের দুর্গন্ধ ক্ষতিকর
- ট্রিটমেন্টের জন্য কী করতে হবে
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ
এটাকে ইংরেজিতে বলা হয় হ্যালিটোসিস। বিশ্বে প্রতি ৪ জন মানুষের মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় পতিত হয় বলে বিভিন্ন ডেন্টাল এক্সপার্ট বা দন্ত বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে। মুখের দুর্গন্ধটা মূলত শুরু হয় মুখের ও দাঁতের পর্যাপ্ত পরিচর্যার অভাবে। এটা ছাড়াও বদহজম ও পেটের অন্যান্য সমস্যার কারণেও মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। দুর্গন্ধ হওয়ার কিছু মূল কারণ এখানে বলা হলো:
মুখের শুকনো অবস্থা: মুখে লালা না থাকলে, লালা কমে গেলে মুখ শুষ্ক বা শুকনো হয়ে যায়। এই শুকনো মুখ মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ। আমাদের মুখের লালা মুখকে পরিষ্কার রাখতে ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে মুখকে মুক্ত রাখতে কাজ করে। কিন্তু যদি লালার ঘাটতি হয় বা একেবারেই কমে যায়, তাহলে সেটা মুখে দুর্গন্ধের তৈরি করে। বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে মুখে লালা কমে যায় এবং যদি মুখ খুলে/ হা করে কেউ ঘুমায়, তখন দুর্গন্ধ আরও বাড়ে।
সকালে ঘুম থেকে উঠলে মুখে দুর্গন্ধ হয় এটা জানেন, কিন্তু কেন হয় তা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন। আর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের রমজান মাসে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। সারাদিন রোজা রাখার কারণে ও পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মুখ শুকনো হয়ে যায়। ফলে মুখের দুর্গন্ধ হয়।
দাঁতের সঠিক পরিচর্যা না করা: দাঁতের কোণায় এঁটে থাকা খাবারে মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের জন্য খুশির বিষয়। কারণ, জমে যাওয়া সেসব খাদ্যকণার থেকে ব্যাকটেরিয়ারা বংশবৃদ্ধি করে ফলে তাতে দাঁত ও মুখের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। নিয়মিত ব্রাশ করা না হলে দাঁত ও মুখ থেকে আঁটকে যাওয়া কণাগুলোকে বের করা যায় না। পরে তা ব্যাকটেরিয়ার আবাস্থল বানিয়ে দেয়। তখন মুখের দুর্গন্ধ হয়। দাঁতে কোনো রোগ থাকলে তা ট্রিটমেন্ট না করালে তা মুখের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু খাবার: পেঁয়াজ, রসুনের মতো কড়া ঝাঁজযুক্ত বস্তুগুলো খেলে বা চিবালে তা থেকে নির্গত সালফার ফুসফুসের সংস্পর্শে যায়। ফুসফুস যেহেতু আমাদের শ্বাসকার্য সম্পাদন করে থাকে, সেহেতু এসব খাবারের কারণে মুখ ও নাক দিয়ে দুর্গন্ধ বের হওয়াটা স্বাভাবিক। আর বদহজমের সমস্যা থাকলে কিছু খাবার ( তৈলাক্ত ও মসলাদার) ও পানীয় পেটে গিয়ে বিক্রিয়া করায় তখনও মুখ দিয়ে বাজে গন্ধ বের হয়।
অ্যালকোহল ও ধুমপান: অ্যালকোহল শরীরকে শুষ্কতায় ভোগায়, সেই সাথে মুখকেও। মুখ শুকনো হয়ে গেলে দুর্গন্ধ হবে তা প্রথম কারণটিতে বলেছি। আর তামাকের পণ্য ও ধুমপানের কথা জানেনই এসব থেকে কেমম বিশ্রী গন্ধ হয়। কেউ যদি তামাক ও ধুমপানের পণ্যের ব্যবহার করে, তাহলে এসব পণ্যের বিশ্রী গন্ধ তখন তার গায়ে ও মুখেও হবে।
নাকের বদলে মুখ দিয়ে শ্বাসকার্য করা: নাক আমাদের ফুসফুসের সাথে সংযুক্ত। তাই নাককে ব্যবহার করা হয় শ্বাসকার্যের জন্য। আবার মুখও ফুসফুসের সাথে বেশিরভাগ সংযুক্ত নাকের সাথের জায়গা হওয়ায়। নাক দিয়ে শ্বাস নিলে তা গলা ও পেটে সরাসরি প্রবেশ করে না, কিন্তু মুখ দিয়ে নিলে সরাসরি প্রবেশ করে। শ্বাস বা হাওয়া সরাসরি মুখ দিয়ে প্রবেশ করায় মুখ, গলা শুকনো হয়ে যায়। প্রথম কারণটাতে তো জানলেনই শুকনো মুখ দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
অভুক্ত থাকা: অনেকক্ষণ যাবত না খেয়ে থাকায় মুখ, গলা, জিহ্বা শুকনো হয়ে যায়। জিহ্বা ও দাঁতে সালফার লেগে যায় তখন। সালফার দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।
পানি কম পান করা: পানি যদি উপযুক্ত পরিমাণে পান করা না হয়, তাহলে তা শরীর ও মুখকে শুষ্ক করে দেয়। আর শুষ্ক বা শুকনো মুখে দুর্গন্ধ হয় তা এতক্ষণে জেনে গিয়েছেন।
নাক, মুখ, গলার কোনো সমস্যা: নাক, মুখ ও গলায় কোনো রোগ থাকলে তা মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার মাধ্যমে সেই রোগের জানান দিয়ে থাকে। সাইনাস, ব্রংকাইটিস, টনসিল স্টোনের এর মতো রোগগুলো হলে এগুলোর কারণেও মুখ দুর্গন্ধের শিকার হয়।
অন্যান্য রোগ: কিডনি জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, যকৃত বা লিভারের রোগ, পেটে গ্যাস্ট্রিকের মতো রোগও মুখের দুর্গন্ধ দিয়ে অবস্থার জানান দিয়ে থাকে। এই রোগগুলোর জন্য হওয়া গন্ধ ভিন্ন হতে পারে। কিছু রোগের কারণে মাছের গন্ধের মতো গন্ধ, আর কিছু কারণে কয়েকরকম ফলের গন্ধের মতো রগরগে গন্ধ হতে পারে যা মুখ দিয়ে নিঃ সৃত হয়।
এই হলো মূল কিছু কারণ যেগুলোর জন্য মুখে দুর্গন্ধ হয়।
মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে সঠিক পরিচর্যা
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার যে কারণগুলো জানা যায়, সেগুলো বাদ দেওয়া ও মেনে চলার মাধ্যমে মুখকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখা যায়। সঠিক কিছু পরিচর্যা এখানে দেওয়া হলো:
১. দৈনিক ২ বার ব্রাশ করা দাঁত ও মুখের জন্য ভালো। ২ বার না করলেও একবার অন্তত করতে হবে এবং নিয়মিত করতে হবে। নিয়মিত ব্রাশ না করলে মুখে, দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভব হয়, মুখ শুকনো হয়ে যায়। তাই নিয়মিত মুখ, দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই সকালে উঠেই দাঁত ব্রাশ করে। কিন্তু ব্রাশ করার উত্তম সময় হচ্ছে সকালে ও রাতের খাবারের আধঘণ্টা বা একঘণ্টা পরে।
২. যে খাবারগুলোয় কড়া ঝাঁজালো গন্ধ আছে, সেগুলো খাওয়ার পর সাথে সাথে ব্রাশ করে, সম্ভব হলে মাউথওয়াশের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৩. ব্রাশ শুধু দাঁতেই করলে হবে না, কয়েকদিন পরপর দাঁতসহ জিভ ও গলা পর্যন্ত পরিষ্কার করতে পারলে মুখের দুর্গন্ধ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়।
৪. একটি ব্রাশ সর্বোচ্চ ৩ মাস ব্যবহার করবেন। তারপর নতুন ব্রাশ নিবেন। দীর্ঘদিন একই ব্রাশ ব্যবহার করলে ব্রাশে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু প্রতিবার সেটা দিয়ে ব্রাশের সময় মুখে লেগে থাকতে পারে। তাই ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত।
৫. দিনে কমপক্ষেও ২-৩ লিটার পরিমাণ পানি গ্রহণ করা উচিত।
৬. কফি ও চা, মিষ্টিজাত খাবারে সচেতন থাকা দরকার । কারণ এগুলো মুখকে শুকনো করে দেয়।
৭. সবসময়ই চেষ্টা করবেন মুখ ভেজা-ভেজা রাখতে। তা করতে একটু পর-পর স্ন্যাকস্ অথবা পানি খেয়ে নিতে পারেন।
৮. অ্যালকোহলের ও ধুমপানের বদভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি পারেন তা বাদ দিতে হবে।
এখনই পড়া বাদ দিয়ে দিতে চাইছেন? সহজ উপায় বলছি দেখে? পরের গুলোও তো পড়ুন.
দুধ
পেঁয়াজ, রসুন, আদা খাওয়ার পর দুধ খান এক গ্লাস৷ কারণ, এটি প্রমান হওয়া একটি বিষয় যে দুধ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সক্ষম। আর যখন তৈলাক্ত ও মসলাদার খাবার খেতে নিবেন, তখন খাওয়ার আগে আধা গ্লাসের কাছাকাছি দুধ খেয়ে নিলে পরে খাওয়া খাবারগুলো থেকে হওয়া দুর্গন্ধ আটকানো যাবে।
দই
বিশেষ করে টকদই। পেটের জন্য এটি খুবই উপকারী। দইয়ে থাকা উপকারকারী ব্যাকটেরিয়া মুখে ও পেটে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। যেহেতু ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলো মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, সেহেতু সেগুলো মারা গেলে তো দুর্গন্ধ দূর হবেই। যাদের মুখে দুর্গন্ধ আছে, তারা প্রতিদিন এক চামচ করে হলেও দই খান।
ফল খান
আনারস আর আপেল এমন দু'টি ফল, এই ফল দু'টি মুখের দুর্গন্ধকে বিদায় করতে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে। এগুলো আপনি ফল হিসেবেও নিতে পারবেন, জুস হিসেবেও পারবেন। আর যে ফলগুলো মুখের দুর্গন্ধ তাড়াতে কাজ করে সেগুলো হলো পেয়ারা, গাজর, জাম, স্ট্রবেরি, লেবু, কমলা।
পেয়ারার পাতার গুণ
পেয়ারা ফল হিসেবে খেলে তা মুখকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখে। কিন্তু জানেন কি পেয়ারা পাতার গুণ সম্পর্কে? পেয়ারা পাতাও দুর্গন্ধ তাড়াতে দারুণ বান্ধব বস্তু। সবসময় গাছে পেয়ারা না-ও পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু গাছে পাতা সবসময়ই থাকে। কয়েকটি পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে মুখে নিয়ে চিবাবেন। প্রতিদিন এই কাজটি করতে পারলে খুব দ্রুতই দুর্গন্ধ তাড়ানো যাবে। চিবিয়ে চাইলে পাতা সহ রস গিলে খেয়ে নিলেও সমস্যা নেই। বরং সেটি পেটের জন্যও উপকার করে থাকে।
গ্রীন টি
এক কাপ অথবা দুই কাপ চা বোতলে ভরে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরের দিন এই ঠাণ্ডা চা সাধারণ পানির সাথে বোতলে মিশিয়ে ফেলবেন। যদি চান, এক-দুইটি লবঙ্গও দিতে পারেন চা ফোটানোর সময়। পরে সারাদিন কিছুক্ষণ পরপর যখন অনুভূতি হবে যে দুর্গন্ধ হচ্ছে তখন সেই চা পানি খান। এটি কার্যকরী একটি উপায় মুখের দুর্গন্ধ সাময়িক ভাবে তাড়াতে।
চুইংগাম ও জিংক
লবণযুক্ত টুথপেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করার চেষ্টা করা ভালো। জিংকের উপাদানে সালফারের সাথে লড়াই করার গুণ থাকে। সালফার দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। তাই জিংক আছে এমন টুথপেষ্ট, মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো। আর চুইংগাম তো চিনেন, মুখে বাজে গন্ধ থাকলে দিনে ৩-৪ টা করে চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস করলে তা গন্ধ থেকে মুক্তি দিবে। টানা অনেকক্ষণ একটি চুইংগাম চিবাবেন।
এই পরিচর্যা গুলো চালিয়ে গেলেই জনসম্মুখে বিব্রতবোধ হওয়ার এই গন্ধ দূর করা যাবে।
ঘরে বানানো মাউথওয়াশ
ব্রাশ, টুথপেষ্ট, খাবার, কার্যকরী কিছু পরিচর্যার কথা তো বললাম। এখন আসুন এমন কয়েকটি মাউথওয়াশের কথা বলি যা দুর্গন্ধ তাড়াবে এবং বানাতে পারা যাবে ঘরেই।
ভিনেগার দিয়ে তৈরি
এক কাপ পানিতে ২ চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার যোগ করে তা মুখে নিয়ে ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট গড়গড়া করে তারপর কুলি করে ফেলে দিন।
এই ভিনেগার এসিড জাত হওয়ায় ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে মেরে ফেলে। ফলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার অপসারণ হওয়ায় দুর্গন্ধ কমবে।
সোডা দিয়ে তৈরি
ব্যাকিং সোডা টুথপেষ্টেও ব্যবহার করা হয় বিধায় টুথপেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করলে সাময়িকভাবেই দুর্গন্ধ দূর হয়। আপনি চাইলে এই ব্যাকিং সোডা দিয়ে নিজেই এক মাউথওয়াশ বানিয়ে ফেললে তা হবে দুর্গন্ধ দূর করার একটি প্লাস পয়েন্ট।
এক কাপ গরম ( হালকা) পানিতে ২ চা-চামচ সোডা যোগ করে নেড়ে গুলিয়ে তা দিয়ে গড়গড় করে নিন ৩০ সেকেন্ড বা ১ মিনিট। তারপর কুলি করে ফেলে দিন।
ভালো ফলাফল পেতে এই মাউথওয়াশ দু'টিই ব্যবহার করা যাবে। যেকোনো একটি ব্যবহার করলে তা দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করলে ভালো।
কখন মুখের দুর্গন্ধ ক্ষতিকর?
দুর্গন্ধের জন্য মানুষের সাথে কথা বলার সময় বিব্রত ও লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়া ছাড়া আর কোনো ক্ষতি নেই। তবে, আমি উপরে বলেছি যে কিছু রোগের জন্যও মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ নির্গত হতে পারে। যেমন- ডায়াবেটিস, কিডনি জনিত সমস্যা, যকৃতের রোগ, গ্যাস্ট্রিকের কারণে। মুখে দুর্গন্ধ হওয়াই এই রোগগুলোর লক্ষণ না। এই রোগগুলোর মূল লক্ষণ যদি দেখা যায় তখন সেগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু মুখের দুর্গন্ধ হলেই এই রোগগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
ট্রিটমেন্টের জন্য কী করতে হবে?
যদি এখানে বলা সঠিক পরিচর্যা করেও দুর্গন্ধ না তাড়ানো যায়, তাহলে কোনো জটিল সমস্যা আছে কিনা তার জন্য ডেন্টিস্ট অথবা গলা বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। ডেন্টিস্ট অথবা গলা ও উদর (পেট) চিকিৎসককে দেখাতে হবে। তারাই দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ বের করে তদনুযায়ী ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা ও দিক নির্দেশনা দিবে।
শেষকথায়
মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে জনসম্মুখে লজ্জিত হওয়ার ভয় পেলেও ডেন্টিস্ট বা দন্ত চিকিৎসককেও ভয় পেলে হবে না। কারণ, মুখের দুর্গন্ধ কী কারণে হয়েছে তা যদি হেলাফেলা করে চলেন, তাহলে তা নিজের জন্যই ক্ষতির।