সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক তিক্ততার হলে যে বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায়
সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক |
স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধুত্ব - কোন সম্পর্কটা ভালো আর কোনটা তিক্ততার তা অনেকেই জানি ও বুঝতে পারি। যত সম্পর্কই থাকুক, সব সম্পর্ক কিছু ভিত্তি আর কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে তবেই সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পায় এবং স্থায়ী হয়। কিন্তু যদি একটি সম্পর্কে সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক তিক্ততার ও খারাপের হয়, সেক্ষেত্রে সম্পর্কটাকে আর সত্যিকারের বলা যায় না। সেই তিক্ত আর খারাপ সম্পর্ক নিয়েই থাকছে আজ। প্রিয় ভালোবাসার মানুষটির সাথে, সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক তিক্ততার হলে যে বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায় সেগুলোই থাকবে এই লেখাতে।
এই লেখাতে-
- সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক কি তিক্ত
- সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক তিক্ততার বৈশিষ্ট্যগুলো
- সত্যিকারের সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত
- তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে কী করতে হবে
সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক কি তিক্ত?
একটি ভালো ও সুস্থ সম্পর্কে দু'জন দু'জনের ভালো বোঝাপড়া, পছন্দ-অপছন্দ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা, নিজের ও সঙ্গীর সাথে সৎ থাকা, নিজেকে ও সঙ্গীকে ভালোবাসা ও বিশ্বাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টক্সিক রিলেশন বা তিক্ততার সম্পর্কে এই বিষয়গুলোর অনুপস্থিতি থাকে বলেই সেই সম্পর্ক তিক্ততার। রিলেশনে যদি ভালো সম্পর্কের বিষয়সমূহ না থাকে, তাহলে সেই সম্পর্ক কখনোই একটি সম্পর্কের পরিচয় হতে পারে না।
সম্পর্ক যদি টক্সিক, বিষাক্ত, তিক্ততার হয় তাহলে সেটা আর সম্পর্ক থাকে না। তখন সেই নামমাত্র রিলেশন বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা-ই উচিত। হ্যাপি কাপল অর্থাৎ সুখী যুগল আর টক্সিক কাপল সম্পূর্ণ বিপরীত। হ্যাপি কাপলের মাঝে ভালো রিলেশনের যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে, তা টক্সিক কাপলের মাঝে এক পর্যায়ে থাকে না বললেই চলে।
ভালো সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, হ্যাপি কাপলের যে গুণগুলো থাকা উচিত, তিক্ত সম্পর্ক কেমন আর টক্সিক কাপলরা কেমন হয় তা সবারই কিছু না কিছু ধারণা আছেই। আমার এই লেখায় এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্তি সহকারে বলবো যেগুলো প্রকৃতপক্ষেই সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক তিক্ততার অবস্থা প্রমাণ করে।
সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক তিক্ততার বৈশিষ্ট্যগুলো
যে বৈশিষ্ট্যগুলো বলতে যাচ্ছি, সেগুলো সবগুলোই যে কোনো এক কাপলের মাঝে থাকবে এমন না। কাপলভেদে বৈশিষ্ট্য ও সিচুয়েশন ভিন্ন হবে, হতে পারে। বৈশিষ্ট্যগুলো:
বিশ্বস্ততার অভাব: শুরুতেই একটি সম্পর্কে সঙ্গীর সাথে যে বৈশিষ্ট্যটি থাকা জরুরি, সেটা বিশ্বস্ততা। একে অপরকে পূর্ণ বিশ্বাস করা, একে অপরের প্রতি সব ব্যাপারেই বিশ্বস্ত থাকা। যত যা-কিছুই হোকনা কেন, দু'জনকে বিশ্বস্ত হতে হবে, সৎ থাকতে হবে, সত্য কথা বলতে হবে। বিশ্বস্ততা এক সময় কমতে থাকলে, কমে গেলে এবং এক মুহুর্তে গিয়ে একদমই বিশ্বস্ততা না থাকলে সেটা সম্পর্কে তিক্ততা ছড়ায় সম্পর্কটিকে টক্সিক করে দেয়।
ছোট কিংবা বড়, গুরুত্বের কিংবা গুরুত্বহীন, যত রকমের কথা, বিষয়, ঘটনা, কাজ, দোষ, অন্যায়, ভুল ত্রুটিই থাকুক তা যদি সঙ্গীকে বিশ্বাস না করে না বলে আর লুকিয়ে রাখে তাহলে তা একসময়ে গিয়ে যখন সঙ্গী জানতে পারে, তখন দু'জনের মধ্যে বিশ্বাস কমে যেতে শুরু করে। বিশ্বাস না থাকার কারণে দু'জনের মধ্যে সন্দেহ, মতপার্থক্য, সহ্য করতে না পারা এসব নেতিবাচক ভাবের প্রকাশ হয়। যা ক্রমেক্রমে সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়, তিক্ততায় ভরিয়ে দেয়।
সম্মান না থাকা: বিশ্বাসের সাথে সম্মানটাও করতে হয় দু'জন দু'জনকে। একজন অন্যজনের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা, কোনো কিছুতে মতামত জানতে চাওয়া ও মতামতকে সম্মান করা, দু'জনের ভালোবাসা ও বিশ্বাসকে সম্মান করা, দু'জনের কাজ ও নৈতিক পেশাকে সম্মান করা একটি সুস্থ রিলেশনে প্রয়োজন। একজন যদি অন্যজনকে অসম্মান করে কথা বলে, সঙ্গীর কাজকে অসম্মান ও অবহেলা করে, মতামত জানার আগ্রহ না রাখে ও মতামতকে যথার্থ সম্মান না করে, তখন সঙ্গীর মধ্যে হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়।
একজনকে যথার্থ সম্মান না দিলে একসময়ে গিয়ে দেখা যাবে কেউ কাউকে পূর্ণ সম্মানটুকু দিতে পারছে না। মতবিরোধ, ঝগড়া, মনোমালিন্য, আঘাত করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা ক্রমেই কঠিন তিক্ততার সম্পর্কের দিকে ধাবিত হয়।
সাপোর্ট না থাকা: দু'জনের জীবনের লক্ষ্য এক হলে তো ভালোই। আর যদি লক্ষ্য আর পেশা আলাদা হয়, তখন একে অপরকে পূর্ণ সাপোর্ট, সমর্থন করে যাওয়া ভালো সম্পর্কের পরিচায়ক। হাতেকলমে কাজ করে দিয়ে হোক, নাহয় টাকা দিয়ে হোক, নাহয় অনুপ্রেরণার জন্য মোটিভেট করে কথার দ্বারা হোক, নিজের ছোটখাটো কোনোকিছু ত্যাগ করে হোক - যেভাবে পারা যায় সেভাবে সঙ্গীকে সাপোর্ট করা অতীব গুরুত্বের।
কেউ যখন নিজের জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে, নিজের কাজে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলে তখন সে অন্যদের কাছ থেকে দু'টি জিনিস চায়। এক হচ্ছে সময় চায় সে, আর হচ্ছে সাপোর্ট চায় কিছুটা হলেও। কঠিন সময়ে ও ব্যর্থতায় সে সাহস চায়, ভরসা দেবার মতো কথা আর হাত চায়।
অন্যরা সাপোর্ট করুক আর না করুক তাতে কষ্ট হয় না। কিন্তু যদি নিজের জীবনসঙ্গী/ জীবনসঙ্গিনী সামান্য সাপোর্টও না করে তখন তা কষ্ট দেয়। এই কষ্ট পাওয়া একসময় সঙ্গীর কাছ থেকে কোনো কিছু চাওয়া ও পাওয়ার আশাকে কমিয়ে দেয়। তখন সে সঙ্গীর কাছ থেকে কোনোকিছু চাওয়া-পাওয়ার আশা করে না। ফলশ্রুতি হয় সম্পর্কে তিক্ততা।
হিংসা করা, জিলাসি হওয়া: মানুষ একজন অন্যজনের কাজকে, সফলতাকে হিংসা করে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে এই হিংসা করার মনোভাব থাকে তা কখনোই সম্পর্কে মিষ্টতা রাখে না, তিক্ততায় গড়ায়। সঙ্গী কোনো কাজে ব্যর্থ হোক বা সফল, সঙ্গীর প্রতি হিংসা রাখা মোটেই ঠিক নয়। বরং সঙ্গীর সফলতালাভে নিঃস্বার্থভাবে খুশি হওয়া উচিত, ব্যর্থতায় সাহস ও সাপোর্ট দেওয়া উচিত।
সঙ্গীকে ঈর্ষা না করে, হিংসা না রেখে বিশুদ্ধ মনে ভালোবাসার সহিত নিঃস্বার্থ সমর্থন করতে হবে।
হিংসা, জিলাসি, ঈর্ষা সম্পর্ককে টক্সিক করে ফেলে। হিংসুটে সঙ্গী নিয়ে থাকা যায় না, তাতে নিজের ক্ষতি হবে ভেবেই সম্পর্ক বাদ দেওয়ার ডিসিশন নিতে হয়।
রাগ, ক্ষোভ, বিরক্তি থাকা: মিষ্টি রাগ, মিষ্টি ঝগড়া, খুনসুটি করা সম্পর্কে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এসব থেকে ক্ষোভ আর বিরক্তিবোধ নিয়ে বড় রাগ, ঝগড়া করা ভালো নয়। সঙ্গীর কোনোকিছুতে আপনার আপত্তি, বিরক্তি থাকলে তা তাকে সহজাষায় বলুন। বুঝতে না পারলে বুঝিয়ে বলুন। বাট, সেই আপত্তি আর বিরক্তি থেকে রাগ-ক্ষোভ-ঘৃণা পোষণ করে রাখবেন না। আঙুলের নখ বড় হলে যেমন নখ কাটআে হয়, আঙুল কাটতে হয় না।
তেমনই সম্পর্কের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি, রাগ, ক্ষোভ, বিরক্তি হলে রাগ-ক্ষোভ আর বিরক্তির বিষয়টির সমাধান করতে হবে দু'জনকে সমঝোতা করে, সম্পর্ককে নষ্ট করে নয়। যদি রাগ-ক্ষোভ আর বিরক্তি রাখেন আর তা সমাধান না করেন তাহলে দু'জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি হবে এবং সম্পর্কে অশান্তির সৃষ্টি হবে।
অল্পতে তৃপ্ত না থাকা: সঙ্গী যে বেতনের জব করে, সেই বেতন দিয়ে সংসার টানতেই বেশিরভাগ খরচ হয়ে যায়। কিন্তু আপনি বা আপনার সঙ্গী যদি অন্যরা কী করছে, কী কিনছে, অন্যের কী আছে আর তা নিজেদের নেই দেখে তৃপ্তি না পান, তাহলেও বুঝতে হবে সঙ্গীর প্রতি আন্তরিকতা নাই। অমুকে এটা কিনছে, সেটা আছে, তা আমাদের নেই, তা আমাকে কিনে দাওনা কেন এমন লোভী আর পরশ্রীকাতর মনোভাব নিয়ে সম্পর্ক মধুর রাখা যায় না।
বরং বুঝতে হবে এবং মানতে হবে নিজের ও নিজেদের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা। থাকতে হবে অল্পতে তৃপ্ত, সন্তুষ্ট। আর তা যদি কোনো কাপল না করে, সেটা সম্পর্কে তিক্ততার তৈরি করে বিষাক্ত করে দেয়।
সঙ্গীকে আপদ মনে করা: সঙ্গী যদি সবসময় আপনাকে দৌড়ের উপরে রাখে, প্যারা দেয়, কৈফিয়ত চায় ভেবে আপদ মনে করেন, সেটা টক্সিক রিলেশন এর প্রকাশ করে। সঙ্গীর সাথে না থাকলে, সঙ্গী পাশে না থাকলে ভালো অনুভব করলে একসময় সঙ্গীকে রাখার আর প্রয়োজন মনে হয় না। কারণ সঙ্গী বেশি প্যারা দেয়!
যদি সম্পর্কে এমন ভাব থাকে, তাহলেও তা তিক্ত সম্পর্ক প্রকাশ করে।
সঙ্গীকে নিজের পছন্দসই হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া: যে আপনাকে ভালোবাসবে, সে আপনার সব দোষ-ত্রুটি, গুণ জেনেই ভালোবাসবে। আপনি যেমন প্রকৃতির হোননা কেন, আপনাকে তার ভালো লাগবে। তাই বলে আপনার অন্যায় আর অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় দিবে তেমনটা ভাবা বোকার পরিচয়। সঙ্গী আপনার মনমতো না, আপনার মনমতো আর পছন্দসই কাজ করে না, তার মধ্যে এটা-সেটা নেই দেখে সঙ্গীকে নিজের চাওয়ামতো আর পছন্দসই হওয়ার জন্য তাকে পরিবর্তন হতে চাপ দেওয়া সমীচীন নয়। আপনি চাপ দিলে, জোর করলে সে তাতে আপত্তি করবে।
নিজের স্বাভাবিক অবস্থা, নিজের স্বাধীনতা কেউ হারাতে চায় না। আপনি চাপপ্রয়োগ করে, জোর করে আপনার পছন্দসই হতে বললে সে তা ভালো ভাবে নিবে না ফলে সম্পর্কে ঝগড়া বাড়বে, মনোমালিন্য বাড়বে। শেষে গিয়ে তিক্ততায় গড়াবে।
দোষারোপ করা: আপনার সঙ্গে থাকায় যদি সে তার কী কী ক্ষতি হয়েছে আপনার জন্য তা বলে আপনাকেই দোষারোপ করতে থাকে। তখন সেটা আর মধুর সম্পর্ক থাকে না। কোনো ভুল হলে এমনকি তার ভুল হলেও আপনাকে সবসময় ব্লেমিং করলে, অভিযুক্ত আর দোষারোপ করলে তেমন সঙ্গী থেকে সরে আসা ভালো। সম্পর্কে তিক্ততা না বাড়িয়ে।
পর্যাপ্ত মনোযোগ ও কেয়ার না দেওয়া: আপনি কাউকে ভালোবাসলে, বিয়ে করলে তার দায়িত্বভার আপনাকে নিতে হবে সম্পূর্ণ। কাউকে কেয়ার করতে হলে তার প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ দেওয়া, মনোযোগ দিয়ে তার সব কথা শোনা, তার মেসেজের জবাব দেওয়া, নিজে কল দিয়ে বা মেসেজ দিয়ে তার খোঁজ নেওয়া, কী হয়েছে জানতে চাওয়া, তাকে মিস করা, তার সঠিক যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট খেয়াল রাখা উচিত।
যখনই এই কেয়ারগুলোর ব্যতিক্রম হতে থাকবে, তখনই সম্পর্কে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। দেখুন আপনার সঙ্গী আপনাকে যথেষ্ট এবং পর্যাপ্ত মনোযোগ দিচ্ছে না, কেয়ারে রাখছে কি-না। যদি সঙ্গীর মাঝে এসব না দেখতে পান, তাহলে বুঝুন সম্ভব কেমন আছে।
আপনার চাওয়াকে গুরুত্ব না দেওয়া: সঙ্গীর কারণে আপনি নিজের প্রিয় কাজ, বন্ধুদের সাথে সীমিত আড্ডা, কোথাও ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি ব্যাপারগুলোই নিজের স্বাধীনতা হারান অর্থাৎ এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে সঙ্গীর অনুমতি নিতে হয়, পরবর্তীতে দোষারোপ করে সম্পর্ক ঘোলা করার অবস্থার সৃষ্টি হয়। সঙ্গী কী চাচ্ছে, কী চায়, সঙ্গীর প্রয়োজনকে ও চাওয়াকে গুরুত্ব দিতে না পারলে তিক্ততার সৃষ্টি হয়।
ভয়ে থাকা: সঙ্গীকে সত্য বলতে ভয় থাকলে, নিজের পছন্দ-অপছন্দ জানাতে ভয় থাকলে সম্পর্কে বিশ্বস্ত থাকা যায় না। যারফলে সম্পর্ক তিক্ত হতে থাকে। গালাগালি, মারামারি, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ভয় থাকলে সে সম্পর্কটা তিক্ততার হয়ে যায়। ভয়ে থাকায় নিজের মধ্যে ডিপ্রেশন-এর খারাপ অবস্থা হয়ে মনের শান্তি নষ্ট হয়ে যায়।
এর বাইরেও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলোই প্রকৃতপক্ষে সম্পর্কের অবনতির প্রমাণ করে।
ভালোবাসার সম্পর্ক |
সত্যিকারের সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত
এটা আর না বললেও হবে বলে মনে করি। উপরিউক্তে যে বৈশিষ্ট্যগুলো জানা হলো, এগুলো খেয়াল রেখে চললেই সম্পর্ক সত্যিকারের করা যাবে। সর্বাবস্থায় বিশ্বস্ত থাকা, সৎ থাকা, সম্মান করতে পারা, সাপোর্ট করা, বোঝাপড়া ভালো হওয়া, যথেষ্ট যত্ন নেওয়া, দু'জনের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করা, ঈর্ষা-হিংসা না রাখা, সম্পর্ক নষ্ট করে এমন বিষয়গুললোকে সমাধান করা, একে অপরকে দোষারোপ না করা, পরিবর্তন হওয়ার চাপ না দেওয়া, অপরাধবোধ হবে এমন-কিছু না করা, মিলে-মিশে সংসারের হাল ধরা এই বৈশিষ্ট্যগুলোকেই গুরুত্ব সহকারে রাখতে পারলেই সত্যিকারের ভালোবাসা হবে। সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক ভালো থাকবে।
তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে কী করতে হবে
অতীতে পড়ে না থাকা হলো সবচেয়ে দরকারী, কোনো তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে। নিজেকে ভালোবাসা, নিজের প্রিয় ও পছন্দের জিনিসগুলো করা, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, নিজনিজ ধর্মমতের কাজ করা, ধর্মকর্ম করা, কোনো স্কিলের উন্নতিতে মনোনিবেশ করা, জার্নি দেওয়া, ব্যস্ত হয়ে পড়ার মাধ্যমেই তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা যায়। বুঝতে পারছেন সম্পর্কটি আগের মতো নেই, তিক্ততা ছড়াচ্ছে, তখন শুধু শুধু আর কষ্ট না বাড়িয়ে বের হয়ে আসুন। তাতে উভয়েই ভালো থাকতে পারা যাবে।
সবশেষ
ভালোবাসার মানুষের সাথে শান্তি না পেলে সে সম্পর্ক তা-ও রাখলে শুধু নিজেদের অশান্তিই বাড়বে। আর যদি সম্পর্কটি রাখতেই চান দু'জনে, ভালোবাসার সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক তিক্ততার হবে এমন কিছু না করে সম্পর্ক ভালো রাখার বৈশিষ্ট্যগুলো রাখুন দুইজনের মধ্যে।