মধু কালোজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম

মধু কালোজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা


মধু ও কালোজিরা এই খাদ্য বস্তু দু'টি সম্পর্কে অনেক মানুষেরই কৌতুহল দেখা যায়। কৌতুহল হওয়ারই বিষয়। মিষ্টি তরল আর কালো বর্ণের ছোট দানার মতো বস্তুর যে কী পরিমাণ স্বাস্থ্য গুণাগুণ ও কার্যকারিতা রয়েছে তা বেশিরভাগেরই অজানা। আপনি আর্টিকেলটি পড়া শেষ করে উপকৃত হবেন, আর অজানা থাকবে না। মধু কালোজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিবেন এখান থেকে।


মধু ও কালোজিরা

একটি হচ্ছে প্রাণীর তৈরি, আরেকটি হচ্ছে উদ্ভিদের। মধু তৈরি করে মৌমাছি, যা একপ্রজাতির প্রাণী। আর কালোজিরা হলো গাছ থেকে তৈরি, যা ফলের মধ্যে বীজ আকারে থাকে।
দু'টো উপাদানই অসংখ্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর। এই দু'টি বস্তুর মতো এতটা গুণসম্পন্ন খাদ্য বস্তু পাওয়া বিরল ব্যাপার।


মধু ও কালোজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে ভাগ ভাগ করে দু’টির উপকার সম্পর্কে বলা হবে।

মধুর উপকারিতা

মধুকে প্রকৃতির দেওয়া সেরা উপহার বললেও ভুল হবে না। এতে নেই কোনো ক্ষতিকর উপাদান। ক্ষতিকারক চর্বি বা ফ্যাট নেই, আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন খনিজ উপাদান, ভিটামিন, জিংক, কপার, আয়রন, রিবোফ্ল্যাভিন, ও একাধিক এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো মিলে মধু আরও গুণাগুণ সম্পন্ন হয়ে উঠে। 
মধুর গুণাগুণ গুলো হলো :

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে

একাধিক এন্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ উপাদান থাকায় তা শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও উন্নত করে। মধুতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণ থাকায় তা দেহকে ছোট-বড় বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বাড়িয়ে দেয়। মানবদেহে থাকা অসংখ্য স্বাস্থ্য উপযোগী কোষকে সুরক্ষিত রাখার গুণও মধুর রয়েছে।

হৃদরোগ

হৃদপিণ্ডের পেশিকে সবল ও স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য মধুতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট দারুণ উপকারী। রক্তচাপ কমায়, রক্তে ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করে ও হার্টবিট স্বাভাবিক রাখতে মধুর এন্টিঅক্সিডেন্টের ভূমিকা প্রশংসনীয়। 

রক্তের স্বাভাবিকতা

রক্তকে পরিষ্কার করে এবং লোহিত রক্তকণিকার বৃদ্ধি করতে মধুতে বিদ্যমান উপাদানগুলো সাহায্য করে। রক্ত পরিষ্কার থাকলে ও রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়লে তা দেহের জন্য কতো উপকার বয়ে আনে তা কেউ ভাবতেও পারবে না। ভিটামিন-বি থাকায় রক্তশূন্যতা প্রতিরোধেও মধু উপকার করতে পারে। আয়রন, কপার হিমোগ্লোবিন তৈরিতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।

রক্তের ক্ষতিকারী কোলেস্টেরল হ্রাসকরণ করতেও মধু ভালো কাজ করে। 

পেট ভালো রাখতে

কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, পাতলা পায়খানা, আমাশয় এর মতো উদরাময় রোগের হাত থেকে ভালো রাখতে মধুতে বিদ্যমান ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো সহায়ক। পাকস্থলীর খাদ্য সঠিকভাবে পরিপাক করতে, অ্যাসিডিটি কমাতেও মধুর সুফল পাওয়া যায়।

শ্বাসকষ্টের নিরাময়ে

ফুসফুস ভালে রাখতে ও শ্বাসকার্য স্বাভাবিক রাখার জন্যও মধুর অবদান থাকে। হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পুরনো মধুর গুণ সম্পর্কে অনেক মানুষই জানে।

দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্যে

প্রদাহ প্রতিরোধক হওয়ায় মুখে কোনো ক্ষত, ঘাঁ, দাঁতের মাড়ি ফোলা, গলার সংক্রমণে মধু খেলে সেসব সমস্যা দূর করা যায়। মুখ ও দাঁতের এসব সমস্যায় মধু কিছুটা গরম করে পানিতে মিশিয়ে গড়গড়িয়ে কুলি করলে উপকার পাবেন।

শারীরিক উষ্ণতায়

মধু খেলে দেখবেন শরীরে একপ্রকারের উষ্ণতা অনুভব হচ্ছে। জ্বর ও সর্দিকাশি তে শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা ভাবটুকু কমে যায় ফলে শীত শীত লাগে। তখন একটু মধু খেয়ে নিলে শীতশীত ভাবটা থাকবে না। শরীরে তাপশক্তি জোগানোর জন্যও মধু সহায়তা করে।

যৌন ক্ষমতায় 

অনেককে বলতে শোনা যায় যে, যাদের লিঙ্গ উত্থান বা শক্তভাবে খাঁড়া হওয়ার সমস্যা আছে, তখন কেউ যদি মধু লিঙ্গে মালিশ করে তাহলে সেই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। শুধু পুরুষদের লিঙ্গ উত্থান হওয়াতেই নয়, নারী পুরুষ সবার যৌন ক্ষমতার উন্নয়নে মধু থেকে উপকার হয়।

ওজনের ক্ষেত্রে 

মধুতে কোনো ফ্যাট বা চর্বি নেই বিধায় এটা খেলে শরীরের চর্বি কমে ফলে ওজন কমানোও সম্ভব। নিয়মিত সকালে খালি পেটে এক অথবা দুই চামচ মধু খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমাতে সক্ষম হওয়া যায়। 

বয়সের ছাপ দূরকরা 

অল্পবয়সে  চেহারায় বয়স্ক ভাব, মলিনতা, চোখের নিচের চামড়া ও মুখের অন্যান্য চামড়ায় ভাঁজ পড়া সারাতে মধু অনেক উপকারী।

স্কিন কেয়ারে

স্কিনের স্বাস্থ্য উপযোগী যত্ন নিতে মধুর গুণাগুণ অনেক। ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মধু ব্যবহার করতে দেখা যায় অনেক মেয়েদেরকে। এটা আসলেই ফলদায়ক একটি পদ্ধতি। ত্বককে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্ত করতেও মধু কার্যকর। 

কর্মশক্তি জোগাতে

যত রকমের এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, সব এন্টিঅক্সিডেন্টই মানবদেহে দারুণ ক্রিয়া আর প্রতিক্রিয়া তৈরির জন্য কাজ করে। দিনের শুরুতে একটু মধু খেয়ে নিলে সারাদিন কর্মশক্তি পাওয়া যায় ও শরীর সঠিকভাবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেয়, দূর্বলতা রোধ করে।

ব্যাথা ও ক্ষত সারাতে

শরীরে কোথাও আঘাত পেলে, কেটে গেলে, অথবা অন্যভাবে ক্ষতের সৃষ্টি হলে তা সারিয়ে তোলার কাজে মধু ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়। 

মানসিক শান্তির জন্য 

এন্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক সুস্থতার জন্য অনন্য উপাদান। স্ট্রেস, বিষণ্ণতা, রাগ, উদ্বেগ, ডিপ্রেশন ইত্যাদি থেকে বিরত রেখে মনকে প্রফুল্ল ও উৎফুল্ল রাখতে মধুর গুণ রয়েছে।

মস্তিষ্কের জন্য 

গবেষণা থেকে জানা যায় স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে ও ব্রেইনের স্বাভাবিক এক্টিভিটি বজায় রাখতে মধুর সম্পৃক্ততা রয়েছে। 

কাশির চিকিৎসায়

যারা অতিরিক্ত কাশিতে ভুগে, তারা কয়েক চামচ মধু খেয়ে নিলে অনেকটা উপকার পাবে। কাশি নিরাময়ের ঔষধ বা সিরাপে মধুও যুক্ত করা হয়। আপনি সেসব সিরাপ না খেয়ে যদি সরাসরি মধু খান, তাহলে কাশি নিরাময় আরও ভালোভাবেই হবে। শিশুদের কাশির চিকিৎসায় মধু ব্যবহারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

ঘুমের জন্য 

মধু খেলে ভালো ও শান্তিময় ঘুম হয়।

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক জানা অজানা উপকারও করে থাকে মধু।

কালোজিরার উপকারিতা

কালোজিরাকে বলা হয়ে থাকে সকল রোগের মহা ঔষধ। ক্ষুদ্র দানাজাতীয় এই শস্যের যে কতগুলো উপকারী দিক রয়েছে তা অনেকেই জানে না। এতে থাকে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, থায়ামিন, নিয়াসিন, আয়রন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ও বিভিন্ন এন্টিঅক্সিডেন্ট। 
 এখানে কালোজিরার গুণাগুণ উল্লেখ করা হলো :

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে

মধুর মতো কালোজিরাও দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করে থাকে। প্রতিটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজতা ও স্বাভাবিকতা দিতে, জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিতে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কালোজিরার গুণ রয়েছে। 

মস্তিষ্কের জন্য 

প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভালো থাকে এবং ব্রেইনের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটে, স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। ব্রেইনকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দিতেও এটি উপকারী। 

রক্তের জন্য

রক্তের সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে কালোজিরা খান নিয়মিত। রক্ত সঞ্চালনায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজমান থাকা তা সুস্থ থাকার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। রক্তের গ্লুকোজও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এটি।

যৌন ক্ষমতা ও সন্তান জন্মদান

ডেইলি কালোজিরা খেতে পারলে তা যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সফলতা আনবে। গবেষকেরা জানিয়েছে, পুরুষদের বীর্যের চলাচল উন্নত করতে ও বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে কালোজিরার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গিয়েছে। বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা ভালো থাকলে সন্তান জন্মদানে তা ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

ক্যান্সারের চিকিৎসায়

কালোজিরার তেল প্রাণীর দেহে ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষগুলোকে মেরে ফেলতে পারে। রক্তের ক্যান্সার বা ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেইন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের জন্য দায়ী কোষগুলোর বিরুদ্ধে কালোজিরা অ্যাকশন নিতে পারে।

ডায়াবেটিসে

ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে গ্লুকোজ, ইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কালোজিরার গুণাগুণ প্রত্যক্ষ হয়েছে গবেষকদের নজরে।

উচ্চ রক্তচাপে

উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতেও কালোজিরার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে। 

পেট ভালো রাখতে

পেটের ভিতরের অন্ত্রসমূহের সুস্বাস্থ্যের জন্য কালোজিরা কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য, পাতলা পায়খানা, বমি, ও পাকস্থলীর সমস্যা থেকে মুক্তি পারে কালোজিরা। হজমশক্তি ভালো রাখে ও খাদ্য পরিপাকের ক্ষমতাও ভালো করে। 

কিডনি ও যকৃতের সুরক্ষায়

কিডনি  ও যকৃতের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তুলে কিডনি ও যকৃতের সুরক্ষায় কালোজিরার কার্যকারী দিক রয়েছে। কিডনির পাথরকে ছোট করতে এবং তা কিডনি থেকে অপসারণ করতে কালোজিরা অনেক কার্যকরী।

শ্বাসকষ্টে 

শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি যাদের আছে, তারা প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে এবং শ্বাসজনিত সমস্যা দূর করা যাবে। 

ব্যথা ও ক্ষত সারাতে 

প্রদাহ প্রতিরোধ ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার জন্য কালোজিরায় আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোথাও ব্যথা ও ক্ষত সারানোর কাজ করে।

মাথা ব্যথায়

মাথা ব্যথা হলে তালুতে কালোজিরার তেল মালিশ করার রীতি অনেকেই মেনে থাকে। আসলেই এটি মাথা ব্যথা উপশম করে।

চুল পড়া বন্ধে

কালোজিরার তেল চুলে ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প কিছুদিনের ভিতরেই চুল পড়ার সমস্যা কমানো যায়।

ত্বকের যত্নে

ব্রণ ও ত্বকে কোনো দাগ থাকলে কালোজিরার তেল লাগালে ত্বক থেকে এসব বিদায় নিবে কয়েক দিনেই। লেবুর রসের সাথে এটার তেল ব্যবহার করতে হয়। 

দুধ উৎপাদনে

সন্তান জন্মের পর যেসব মেয়েদের বুকে দুধ কম থাকে অর্থাৎ বাচ্চা পর্যাপ্ত দুধ না পায়, তাহলে সেসব মেয়েদের এই সমস্যা থেকে মুক্ত করবে কালোজিরা। হ্যা, ঠিক তা-ই। যাদের এই সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত কালোজিরার গুঁড়া দুধের সাথে মিশিয়ে খাবেন। অথবা কালোজিরার তেলের সাথে মধু মিশিয়ে। ফলাফল পাওয়া যাবে অল্প কয়েকদিনেই।

এই হলো কালোজিরার উল্লেখ যোগ্য কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।


মধু কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম



মধু কালোজিরা ব্যবহারের নিয়ম

মধু ব্যবহারের নিয়ম

মধু তরল পদার্থ। এটা মুখে পানির মতো করে খাওয়া যায়। শুধু যৌনাঙ্গে মালিশ করে,  ব্যথা ও ক্ষতের জায়গায় প্রলেপ, আর মুখের ত্বকে ফেইসওয়াশের মতো করে দিতে হয়। এছাড়া আর সবক্ষেত্রে মুখ দিয়ে খেলেই হবে। মধু খেয়ে ভালো উপকার পেতে চাইলে সকালে খালি পেটে ১ থেকে ২ চামচ খেলেই হবে। সকালে না খেলে রাতে ঘুমানোর আগে খেলেও হবে। দিনে ৩-৪ চামচ করে খেলেই যথেষ্ট।

কালোজিরা ব্যবহারের নিয়ম 

এটি শস্যদানা। দানা আকারেও খাওয়া  যায়, গুঁড়া বা চূর্ণ করেও, তেল বানিয়েও এটি ব্যবহার করা যায়। যেকোনো একভাবে খেলেই হবে। তবে বাহ্যিক ব্যথা, ফোলার জন্য আহত স্থানে এটির তেল এবং চুলেও তেল ব্যবহার করতে হবে। কালোজিরা কী পরিমাণ খেতে হবে এ নিয়ে বাঁধাধরা কোনো নিয়ম নেই। আপনি চাইলে তিন বেলা খাবারেই কালোজিরা খেতে পারবেন।


যাদের জন্য না

মধু যাদের ব্যবহার করা উচিত নয়

  • সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকে অনেকেই মুখে একটু মধু দেয়। কিন্তু এটা করা ঠিক কাজ নয়। শিশুর ১২ মাস হওয়ার আগে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো কিছু দেওয়া উচিত নয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মধু মাঝেমধ্যে সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু মধুতে মূল উপাদানই হলো চিনি এবং যা মিষ্টিযুক্ত, তাই এই রোগীদের মধু না খেলেই ভালো। তবে শরীরের বাহ্যিক অংশে ব্যবহার করা যাবে।
  • এলার্জি রোগীরও মধু খাওয়া ও বাহ্যিক ব্যবহার করা ঠিক হবে না। যদিও মধুতে এলার্জির কিছু নেই, তবে এটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সচেতন হয়েই ব্যবহার করা উচিত। 

কালোজিরা যাদের ব্যবহার করা উচিত নয়

সবার জন্যই কালোজিরা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু যদি কারও ত্বকজনিত দীর্ঘ ব্যাধি থাকে, তাহলে কালোজিরা দেহের বাহ্যিক অংশে ব্যবহার না করাই উত্তম।

শেষকথায়

মধু কালোজিরা প্রাকৃতিক দু'টি মহা ঔষধ। এই দু'টি বস্তু সবার জন্যই উপকারী। মধু ও কালোজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক, সেগুলোর বিশেষ কিছু উপকারী দিক এখানে বলা হয়েছে। এর বাইরেও আরও উপকারিতা রয়েছে। 
সুস্থ থাকতে ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url