আমাশয় হলে করণীয় কী? ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কীভাবে এটি বন্ধ করা যায়

আমাশয় হলে করণীয় কী? ঘরোয়া চিকিৎসা


আমাশয় একপ্রকার পেটের অসুখ, যা আদিমকাল থেকে পরিচিত। প্রতিটি মানুষের জীবনে আমাশয় হওয়ার ঘটনা অন্তত একবার হলেও ঘটে থাকে বলে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন জরিপে দেখা গিয়েছে। বারবার টয়লেটে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় বিধায় রোগীকে বিব্রত ও অস্বস্তির মধ্যে থাকতে হয়। দেহ থেকে পানি বেশি পরিমাণে বের হয়ে যাওয়ায় পেটের এই পীড়া হয়ে উঠে জটিল। আমাশয় হলে করণীয় কী? ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কীভাবে এটি বন্ধ করা যায় সে বিষয়েই থাকবে এখানে।



আমাশয় কী 

এটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত একটি রোগ যা পরিপাকতন্ত্রে হয়ে থাকে। মূলত আমাশয় হচ্ছে দুই শ্রেণির পরজীবির মাধ্যমে ঘটা কোনো সংক্রমণ। অ্যামিবা ও একাধিক ব্যাকটেরিয়া এই পীড়ার উৎপত্তি করে।

অ্যামিবা ও ব্যাক্টেরিয়া খাদ্য, পানীয়, স্পর্শের মাধ্যমে পেটে প্রবেশ করলে অন্ত্রকে আক্রমণ করে। তখনই দেখা দেয় আমাশয়।

যেসব এলাকায় ভালো স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ, সেসব এলাকায় কেউ গেলে আমাশয় হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।

এর জীবাণু কারও দেহে প্রবেশের ৩-৪ দিনের মধ্যেই আমাশয় শুরু হয়ে থাকে। 

আমাশয় হলে রোগীকে দিনে ১০ বারেরও বেশি টয়লেটে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। পায়খানার মল রক্ত মিশ্রিত হয়, ঘনঘন পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা এগুলো হচ্ছে আমাশয়ের কিছু উপসর্গ। 



আমাশয় কেন হয়?


এটি একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া পীড়া। এটি সংক্রামক রোগও। শুধু সংক্রামক নয়, অতি সংক্রামক। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকে, সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত না ধোয়, তাহলে সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপত্র অন্য কেউ ধরলে ও ব্যবহার করলে তারাও আমাশয়ের শিকার হবে।

এই রোগে ভোগা এবং পুরোপুরি এটি থেকে সুস্থ না হওয়া কারও বানানো খাবার খেলে অন্যরাও এটিতে আক্রান্ত হবে। 

আমাশয় আক্রান্ত কেউ নদীতে, পুকুরে গোসল করলে পানি দূষণ হয়। সেই পানিতে একই সময়ল অন্যরাও ব্যবহার করলে তারাও আক্রান্ত হবে।



আমাশয় হলে করণীয় কী? 


আমাদের আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য প্রাকৃতিক উপাদান,  যেগুলো ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন চিকিৎসা কার্যেও। আমাশয় হলে আমাদের চারপাশে থাকা  তেমন কিছু উপাদান প্রয়োগ করলেই এটি নিরাময়যোগ্য করা সম্ভব। 

আদা, বেত গাছের ফল ও পরাগ, হলুদের মতো উপাদান ব্যবহার করেই আমাশয় বন্ধ করা যায়।

বেশি বেশি পানি গ্রহণ করা, স্যালাইন, গরম তরলজাত খাবার এটি কমিয়ে থাকে।

ভাজাপোড়া না খাওয়া, টয়লেট করার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে না যাওয়া, এতে অসুস্থ হলে অন্যদের থেকে আলাদা থাকা, সুস্থ হয়ে গেলেও আরও দুইদিন পর অন্যদের সাথে মেলামেশা করা এই বিষয়গুলো বজায় রাখতে পারলেই অতি সংক্রামক এই রোগটি প্রতিরোধ করা যায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url