কফি, ব্ল্যাক কফি পান করলে যত উপকার ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

কফি, ব্ল্যাক কফি এর উপকারিতা


কফি, ব্ল্যাক কফি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি পানীয়। ক্যাফেইন যুক্ত এই পানীয়তে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। মনকে চাঙা করা, কাজে স্বতঃস্ফূর্ত থাকার জন্যই অধিকাংশ মানুষ কফি পান করে থাকে। কিন্তু কফির অন্যান্য বড় বড় গুণাগুণ ও উপকারী দিকগুলো অনেকেরই অজানা।

কফি, ব্ল্যাক কফি পান করার যত উপকার ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেসব এখানে বর্ণনা করবো আপনার কাছে। 


কফি, ব্ল্যাক কফি 

একই বস্তু। কফির বীজ গুঁড়ো করে গরম পানির সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয় মুড ও শরীর সতেজ কারক এই পানীয়।

সকালে এক কাপ কফি সারাদিনের মুড ভালো রাখার জ্বালানি জুগিয়ে থাকে। দিনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে, সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ কফি যেন জাদুর উপকরণ। মুহুর্তেই ক্লান্তি দূর করে পুরোদমে কাজে মনোনিবেশ করার শক্তি দিয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস, লিভার, হৃদরোগ, ক্যান্সার, উচ্চ - রক্তচাপ, কিডনির কোনো সমস্যা - এরকম বড় বড় রোগগুলির প্রতিরোধে কার্যকর উপাদান পাওয়া যায় কফিতে। তাই কফি একটি উপকারী পানীয়। 

সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকে। কফি খাওয়ারও তেমন সীমা রয়েছে। অতিরিক্ত কফি পানে দেখা দেয় বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।


কফি, ব্ল্যাক কফি পান করার উপকারিতা


ওজন কমায়

ওজনের অতিরিক্ততা প্রতিটি মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। কফি আপনাকে সেই ক্ষতি থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।

পরিপাক ক্রিয়া ভালো রাখে

মেটাবলিজম হার বাড়িয়ে পেটের বিভিন্ন অসুখ যেমন বদহজম, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। খাবার সহজে হজম হতে, অন্ত্রসমূহের কাজ স্বাভাবিক রাখায় ব্ল্যাক কফি কাজ করে। 

লিভার সুস্থ রাখা

যকৃত তথা লিভারের নানান সমস্যা দূরীকরণেও ব্ল্যাক কফি সাহায্য করে। 

মস্তিষ্কের সুস্থতায়

ব্রেইনের ক্ষতি রোধ , স্মৃতিশক্তির উন্নতি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজেও কফির উপকারী ভূমিকা প্রমাণিত। 

শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে

রক্তে বিষক্রিয়া হলে কিডনি, যকৃত সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোতে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কফিতে থাকা কার্যকর উপাদান শরীর ও রক্ত থেকে বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাশন করে। 

হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে 

অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট রয়েছে কফিতে। তাই এই পানীয়টি পান করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে হৃদপিণ্ডও ভালো থাকবে। 

উচ্চ-রক্তচাপ কমাতে

এতে থাকা অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রিত করতে কাজ করে। তাই উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।

মেজাজ ফুরফুরে করতে

এটা সবার কাছেই পরীক্ষিত সত্য যে, চা ও কফি পান করলে মেজাজ হালকা হয়, ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত হওয়া যায় কিছু সময়ের জন্য। 

কর্মোদ্যম ফিরে পাওয়ায়

কাজের ব্যস্ততায় ক্লান্তি ভর করে সহজেই। ব্যস্ততার এক ফাঁকে এক কাপ গরম কফি মুডকে চাঙা করে তুলে। ফলে বাকি কাজ শেষ করতে কর্মোদ্যম ফিরে আসে নতুনের মতো। দিনশেষে ব্যস্ততা ছেড়ে গোসল সেরে এক কাপ কফি নতুনভাবে উদ্যম জাগায়, শরীর ও মেজাজ সতেজ হয়ে যায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url