রসুন খাওয়ার ৬ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
রসুন হচ্ছে আদা, কালোজিরা, মধুর মতো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর একটি উপাদান। সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয় রান্নায়, খাবারে। কিন্তু কাঁচা রসুন খেলে কী হয় সেটা জানে না অনেকে। রান্নায় খাবারে রসুন খাওয়ার উপকারিতার চেয়ে কাঁচা রসুনের উপকারিতা আরও বেশি। আবার সরাসরি কাঁচা রসুন অতিরিক্ত খেলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
কাঁচা রসুন হোক কিংবা রান্নায় ব্যবহার করা রসুনই হোক, রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সবরকম ভাবে একই থাকে। আর্টিকেলটিতে রসুনের পুষ্টি উপাদানগুলো, রসুন খাওয়ার ৯ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
রসুন এর পুষ্টি উপাদান
একাধিক উপাদানে ভরপুর পরিপূর্ণ একটি মশলা। অতীতকাল থেকে এর ব্যবহার হয়ে আসছে খাবারে স্বাদ জোগাতে, রোগ সারাতে। রসুনে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু প্রতিরোধী গুণ। রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৯, ভিটামিন-সি, সেলেনিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, নিয়াসিন, এলিসিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
রসুন খাওয়ার ৯ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. সর্দি-কাশিতে
আবহাওয়া জনিত কারণে অথবা অন্য কোনো রোগের কারণে সর্দিকাশি হলে তখন রসুন হতে পারে সর্দিকাশি সারানোর উত্তম ঔষধ। এটা অনেক আগে থেকেই প্রমাণিত যে সর্দিকাশি সারাতে এটি খুবই উপকারী।
২. মস্তিষ্কের জন্য
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকায় ব্রেইনের অর্থাৎ মস্তিষ্কের সুস্থতায় এর ভূমিকা পাওয়া গিয়েছে। রসুন সরাসরি না খেয়ে এর পরিপূরক উপাদান স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় কিছু বেশি গ্রহণ করলে মানবদেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বাড়ে। ফলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ যেমন- আলঝেইমার্স, ডিমেনশিয়া অর্থাৎ ভুলে যাওয়া রোগের মতো সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে।
৩. হার্টের সুস্থতায়
রক্তের জন্য খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে আনতে সহায়তা করে রসুনে থাকা এলিসিন সহ আরও কয়েকটি উপাদান। কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রাখার কাজ করে এটি হার্টের বিভিন্ন ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
৪. রক্তচাপ ঠিক রাখতে
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। রসুন রক্তের সেই খারাপ কোলেস্টেরলকে দমিয়ে রাখে বিধায় রক্তচাপও ঠিক থাকে।
৫. ক্যানসার ও আলসার প্রতিরোধে
উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণগত হওয়ায় রসুন বিভিন্ন আলসার ও ক্যানসারের প্রতিরোধে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
৬. স্কিনের জন্য
যেহেতু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হচ্ছে শরীরের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, সেহেতু এটি শরীরের সমস্ত ক্রিয়া বিক্রিয়ার সাথে জড়িত। ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য রসুন ত্বককে ব্রণ, সিরোসিস, ফুসকুড়ি সহ স্কিনের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে।