মায়ের বুকের দুধ না-কি বাজারের ফর্মূলা দুধ ভালো?

মায়ের বুকের দুধ না-কি বাজারের ফর্মূলা দুধ ভালো?


শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর শিশুর প্রাণ বাঁচাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ শিশুকে দুধ খাওয়ানো। মায়ের স্তনের দুধই মূলত শিশুর প্রথম এবং প্রধান খাবার। মা'র বুকের দুধ থাকলে তো ভালোই, কিন্তু সব সন্তান জন্মদানের পরপরই  সবার বুকে দুধ আসে না। কিছুটা সময় লাগে। অথবা মায়ের কোনো অসুস্থতার জন্য শিশুকে স্তনপানের সুযোগ হয় না। তখন বাধ্য হয়েই বাজার থেকে কৃত্রিম দুধ কিনে এনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু শিশুর জন্য মায়ের বুক না-কি বাজারের ফর্মূলা দুধ ভালো?


এই দুইরকম দুধের পার্থক্য নিয়েই এই আর্টিকেলে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। 


মায়ের বুকের দুধ না-কি বাজারের ফর্মূলা দুধ 


মায়ের বুকের দুধ হচ্ছে প্রাকৃতিক এবং ভেজালমুক্ত খাদ্য। এটাকে শালদুধ বলা হয়।  এতে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদানই বিদ্যমান। 


শিশু জন্ম নিয়ে চিৎকার দিয়ে দুনিয়ায় নিজের আগমনের জানান দেয়। দুনিয়ায় আসার ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে দুধ দিতে হবে। তা না হলে শিশুর প্রাণ সংশয়ের সৃষ্টি হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে বাচ্চা জন্মের পর ১ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মা'র স্তনের দুধ দিতে হবে। এবং এটা করে যেতে হবে বাচ্চার বয়স ৬ মাস হওয়া পর্যন্ত। 


অর্থাৎ জন্মের কয়েক মিনিট পর থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাইয়ে যেতে হবে।  এর মধ্যে অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো মোটেই উচিত নয়। বাচ্চার সুস্থতার নিয়ামক হলো মায়ের দুধ। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ খাবার।


বাজারের ফর্মূলা খাবারগুলো মানুষের হাতে, কারখানায় তৈরি। তাতে গরুর দুধ সহ আরও বিভিন্ন উপাদান মেশানো হয় যা সবার জানা নেই। কৃত্রিমভাবে বানানো সেসব দুধ অর্থাৎ ফর্মূলা মিল্ক একাধিক প্রকারে বাজারজাত করা হয়। প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ, প্যাকেটজাত তরল দুধ। 


সেসব দুধে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়ে থাকে। যা সবসময় বাচ্চার জন্য নিরাপদ না-ও হতে পারে। 


সুতরাং আসল কথা হচ্ছে, শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ -ই শিশুর জন্য উত্তম এবং নিরাপদ খাবার। কিন্তু যদি মা'র বুকের দুধ পাওয়া না যায়? তখন কী করতে হবে? 


কখন শিশুকে ফর্মূলা দুধ দিতে হবে? 


বেশিরভাগ নারীই সন্তান জন্মদানের পর বুকে দুধ পেয়ে যায়। তাই তাদের জন্য শিশুকে দুধ খাওয়ানো কোনো সমস্যার বিষয় নয়।


কিন্তু কিছু নারী আছে যারা সাথে সাথে বুকে দুধ পান না। কিছুটা সময় লাগে তাদের বুকে দুধ আসতে। আর কিছু ক্ষেত্রে সন্তান জন্ম দেয়ার পর নারীর জটিল শারীরিক অসুস্থতা, প্রসবের পর প্রসূতি মা মারা যায়। এসব ক্ষেত্রে শিশুদের জীবন বাঁচাতে যখন দুধের প্রয়োজন হয়, তখন ফর্মূলা দুধই একমাত্র সম্বল।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url